
ফাইল ছবি
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসের নেতারা যেখানেই থাকুক না কেন তারা রেহাই পাবে না — বিদেশেও তাদের বিরুদ্ধে হামলার সম্ভাব্যতা উড়িয়ে দেননি তিনি। জেরুজালেমে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন নেতানিয়াহু; ওই অনুষ্ঠানে পাশে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
নেতানিয়াহু বলেন, “প্রত্যেক দেশেরই নিজস্ব সীমানার বাইরে গিয়ে আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।” তাঁর এই বক্তব্য গত সপ্তাহে কাতারে হামলার পর এসেছে, সেই হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
কাতারে ইসরায়েলের হামলা আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দার মুখে পড়েছে এবং মধ্যপ্রাচ্যের মিত্রদেশগুলোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতারকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, তাদের মাটিতে আর এমন ঘটনা ঘটবে না — এমনই খবর দেয় হোয়াইট হাউস। কাতারের মাটিতে হামলার পর হামাস বলেছে, ওই ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়েছিল, তবে সংগঠনের শীর্ষ নেতারা বেঁচে আছেন।
জেরুজালেমে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়—কাতারে হামলার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা ছিল কি না। এ প্রশ্নের উত্তরে নেতানিয়াহু বলেন, “আমরাই করেছি। একেবারে একা।” একসময়ে এই ধরনের প্রত্যক্ষ ঘোষণাকে আন্তর্জাতিক দিন অনুযায়ী তীব্র প্রতিক্রিয়া ও কূটনৈতিক উত্তেজনার কারণ হিসেবে ধরা হয়।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে চাপ বাড়ছে। কাতারের রাজধানী দোহায় আরব ও মুসলিম নেতারা জরুরি শীর্ষ সম্মেলনে বসেন এবং কাতারের পাশে থাকার আহ্বান জানানো হয়; কাতারের প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্বিমুখী আচরণ না করতে বলেছিলেন ও ইসরায়েলকে শাস্তি দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন।
এদিকে মার্কো রুবিও সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেন, ওয়াশিংটন উপসাগরীয় মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং কূটনৈতিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করবে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েল সফর শেষে রুবিও কাতারে যাওয়ার কথা রয়েছে।
কাতারে হামলার পরপাঠ ও নেতানিয়াহুর স্পষ্ট বক্তব্য—হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার ইসতেহার—মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া বাড়াতে পারে। আঞ্চলিক নেতৃত্ব ও আন্তর্জাতিক কূটনীতিকেরা এখন পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য চাপ বাড়াচ্ছে; তবে মাঠের বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ কূটনৈতিক ফলাফল এখনই অনিশ্চিত।