ফাইল ছবি

এশিয়া কাপে টিকে থাকার লড়াইয়ে আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে গ্রুপ ‘বি’র গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক লিটন দাস।

টসের পর লিটন বলেন, “আমরাই প্রথমে ব্যাট করব। ছেলেরা সবাই দারুণ উচ্ছ্বসিত এই ম্যাচের জন্য, এটা আমাদের জন্য অবশ্যই জিততে হবে এমন একটি খেলা। উইকেটটা কিছুটা ধীর মনে হচ্ছে, ১৬০ রান ভালো টোটাল হবে। ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেটটা মোটের ওপর ভালোই দেখাচ্ছে। আমাদের দলে চারটি পরিবর্তন এসেছে—তাসকিন ফিরেছে। দলে তিনজন স্পিনার ও দুইজন পেসার রয়েছে।”

প্রথম ম্যাচে হংকংকে হারালেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে কঠিন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। সুপার ফোরে টিকে থাকতে হলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই। তবে আফগানদের বিপক্ষে সাম্প্রতিক ফলাফল খুব একটা অনুকূলে নয়, আর আবু ধাবির ভেন্যুটিও অনেকটা আফগানিস্তানের হোম কন্ডিশনের মতো।

কেবল এই ম্যাচে জয় পেলেই হবে না, চোখ রাখতে হবে গ্রুপের শেষ ম্যাচেও—যেখানে আফগানিস্তানের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। দুই ম্যাচে দুই জয়ে শীর্ষে থাকা লঙ্কানরা ইতিমধ্যেই ৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। যদি তারা আফগানদের হারায়, তবে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপসেরা হয়ে সুপার ফোরে উঠবে। সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ যেকোনো ব্যবধানে জিতলেই পরের পর্বে জায়গা নিশ্চিত হবে।

কিন্তু আফগানিস্তান যদি জেতে, তখন সমীকরণ জটিল হয়ে যাবে। বাংলাদেশ আজ জিতলেও শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের পয়েন্ট হবে সমান ৪। তখন নির্ধারণী হবে নেট রান রেট, যেখানে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান এগিয়ে আছে। ফলে আফগানদের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জেতার লক্ষ্য নিয়েই নামতে হবে লিটনদের।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ যদি হেরে যায়, তবে সব সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাবে। ২ পয়েন্ট নিয়ে টাইগারদের বিদায় নিতে হবে গ্রুপ পর্ব থেকেই। এ অবস্থায় শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান নিশ্চিত করবে সুপার ফোরে খেলা। এমন কঠিন সব সমীকরণ মাথায় নিয়েই আজ বাঁচা-মরার ম্যাচে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, সাইফ হাসান, লিটন দাস (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), তাওহিদ হৃদয়, শেখ মেহেদী হাসান, নুরুল হাসান, জাকের আলী অনিক, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, রিশাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ।

আফগানিস্তান একাদশ: রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), সেদিকুল্লাহ অটল, ইবরাহিম জাদরান, গুলবাদিন নাইব, করিম জানাত, আজহমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবি, রশিদ খান (অধিনায়ক), নুর আহমাদ, এএম গজনফার, ফজলহক ফারুকি।