
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দীন আহমেদ বলেছেন,‘অনেকে আছে যারা অর্থ ও মুনাফা খোঁজে। কিন্তু চীনের প্রধান লক্ষ্য হলো কোনো দেশের মঙ্গলের জন্য কাজ করা। তার উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড। আমরা উভয়েই জয়-জয় পরিস্থিতি চাই। চীন জিতলে বাংলাদেশও জিতবে।’
চীনের ৭৬তম বিজয় দিবস ও চীন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে চীনা দূতাবাস আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এছাড়া কূটনীতিক, রাজনৈতিক অঙ্গনের নেতা, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ও আর্ন্তজাতিক বিভিন্ন সংস্থার প্রধানসহ বিশিষ্টজনেরা এতে অংশ নেন।
চীনা রাষ্ট্রদূত স্বাগত ভাষণে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য, রাজনীতি, অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিসহ অংশীদারত্ব আজ শক্তিশালী হয়েছে, এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে, দুই দেশের জনগণকে আরও কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। কঠিন সময়ে দেশদুটি একসঙ্গে দাঁড়িয়েছে।অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ–সবসময়ই বিনিময়ের গতিশীলতা ছিল এবং থাকবে।’

দুই দেশের জনগণের হৃদয়ের সংযোগই কূটনৈতিক সম্পর্কের আসল ভিত্তি, এমনটা উল্লেখ করে সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও চীন একসঙ্গে এগিয়ে চলেছে। শুধু বাণিজ্য ও যোগাযোগই নয়, চীন এদশের মানুষের হৃদয়ের শক্তিশালী জায়গা করে নিয়েছে। আমরা চিন্তা-ধারণা ও জীবনদর্শন বিনিময় করেছি।’
পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে চীনা শিল্পীরা চীনের ঐতিহ্যবাহী সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন।