
গাজায় মানবিক সহায়তা নিয়ে যাওয়া নৌবহর আটকে দেওয়ার ঘটনায় ইউরোপজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি, বেলজিয়াম ও সুইজারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে ইসরায়েলের নিন্দা জানিয়ে ইউরোপীয় সরকারগুলোর প্রতি কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
গাজায় ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ গত মাসে বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। জাতিসংঘ জানিয়েছে, প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের মধ্যে গাজায় তীব্র দুর্ভিক্ষ চলছে। বুধবার থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি নৌবাহিনী ৪১টি নৌযান আটক করে। এসব নৌযানে ৪০০ জনের বেশি কর্মী ছিলেন, যাদের মধ্যে আছেন জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ও কয়েকজন ইউরোপীয় রাজনীতিক।
স্পেনের বার্সেলোনায় প্রায় ১৫ হাজার মানুষ মিছিল করে ইসরায়েলের নিন্দা জানায়। তারা শ্লোগান দেন—“গাজা, তুমি একা নও”, “ইসরায়েলকে বয়কট করো” এবং “ফিলিস্তিনকে মুক্তি দাও”। তবে কিছু বিক্ষোভকারী ব্যারিকেড ভাঙতে গেলে দাঙ্গা পুলিশ লাঠিচার্জ করে। মাদ্রিদে আরও ১০ হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেন। বিলবাও, সেভিলা ও ভ্যালেন্সিয়াতেও একই ধরনের বিক্ষোভ হয়।
প্রতিরোধ অভিযানের অংশ হিসেবে আটক হওয়া নৌযানগুলোর একটিতে ছিলেন বার্সেলোনার সাবেক মেয়র আডা কোলাউ ও নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি মান্ডলা ম্যান্ডেলা।
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে প্রজাতন্ত্র স্কয়ারে প্রায় এক হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেন। মার্সেই শহরে অস্ত্র নির্মাতা ‘ইউরোলিঙ্কস’-এর কার্যালয় ঘেরাওয়ের চেষ্টা করলে প্রায় একশ জনকে আটক করে পুলিশ।
ইতালিতে প্রধান শ্রমিক ইউনিয়নগুলো শুক্রবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা সবকিছু অবরুদ্ধ করতে প্রস্তুত। গণহত্যার যন্ত্র থামাতে হবে।
বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ভবনের সামনে প্রায় তিন হাজার মানুষ সমবেত হয়ে গাজার অবরোধ ভাঙার জন্য ইইউ’র প্রতি আহ্বান জানায়। সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতেও কয়েক হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন।
এদিকে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরেও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সামনে ছোট আকারের বিক্ষোভ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের প্রধান মিত্র হিসেবে সমালোচনার মুখে রয়েছে।
লে মন্ডে