
ছবি: বিবিসি
ফিলিস্তিনের গাজা শহরে হামাসের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় দুঘমুশ গোত্রের সশস্ত্র সদস্যদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন। সম্প্রতি ইসরায়েলের ব্যাপক সামরিক অভিযানের পর এটিই এ অঞ্চলে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী অভ্যন্তরীণ সংঘাতগুলোর একটি বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজা সিটির তেল আল-হাওয়া এলাকায় জর্ডানিয়ান হাসপাতালের কাছে শনিবার গভীর রাতে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। সংঘর্ষের সময় ভারী অস্ত্রের ব্যবহার ও ককটেল বিস্ফোরণে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়, হামাসের নিরাপত্তা ইউনিটগুলো শহরের ভেতরে একটি সশস্ত্র মিলিশিয়া বাহিনীকে ঘিরে ফেলে তাদের আটক করতে গেলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে হামাসের আট যোদ্ধা এবং দুঘমুশ গোত্রের ১৯ সদস্য নিহত হন।
স্থানীয় চিকিৎসা সূত্র জানায়, তীব্র গোলাগুলির মধ্যে বহু পরিবার আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘এবার মানুষ ইসরায়েলি হামলা থেকে নয়, নিজেদের লোকদের কাছ থেকে পালাচ্ছিল।’
গাজার অন্যতম প্রভাবশালী দুঘমুশ গোত্রের সঙ্গে হামাসের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। অতীতেও এ গোত্রের সশস্ত্র সদস্যদের সঙ্গে হামাসের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
হামাসের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের পথে তাদের বাহিনী রয়েছে এবং সতর্ক করেছে যে, প্রতিরোধ কাঠামোর বাইরে কোনো সশস্ত্র কার্যকলাপ সহ্য করা হবে না।
অন্যদিকে দুঘমুশ গোত্রের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, হামাস বাহিনী একটি ভবনে প্রবেশ করে যা একসময় জর্ডান হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহৃত হতো। সম্প্রতি ইসরায়েলি হামলায় বাড়িঘর ধ্বংস হওয়ার পর গোত্রের সদস্যরা সেখানে আশ্রয় নিয়েছিল। হামাস নাকি ভবনটিকে তাদের নতুন ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতে চাওয়ায় সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।
উভয় পক্ষই সংঘর্ষের জন্য একে অপরকে দায়ী করছে। বর্তমানে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে, যদিও হামাসের দাবি, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।