
দেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য ‘সিদ্ধান্তমূলক মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি সতর্ক করে বলেন, রাজনৈতিক ভুলের কারণে দেশে আর যেন ফ্যাসিবাদের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ঠাকুরগাঁও জেলা শিল্পকলা একাডেমির হলরুমে সদর উপজেলা ও রুহিয়া থানা বিএনপির বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘দানবীয় দুঃশাসনের পর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে। অসংখ্য মানুষ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, হাজার হাজার নেতাকর্মী মিথ্যা মামলায় জেলে গেছেন। আজ আমরা মুক্তভাবে শ্বাস নিতে পারছি, নেতাকর্মীরাও নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছেন। যারা এই গণঅভ্যুত্থানে যোগ দিয়েছেন, তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’
গণভোট প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট হতে পারে। মানুষ এমন একটি নির্বাচন চায়, যেখানে নিজেরাই প্রতিনিধি নির্বাচন করে একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করতে পারবেন।
ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের অংশীদারদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘যেসব দাবিতে আমরা রাজপথে লড়েছি, সেসব দাবি নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিএনপি সব সময় সংস্কারের পক্ষে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান-এর হাত ধরেই সংস্কারের যাত্রা শুরু হয়েছিল, যা এখনও চলমান। সামনে কঠিন পরীক্ষা- গণতন্ত্রের পরীক্ষায় আমাদের উত্তীর্ণ হতে হবে। কারণ, গণতন্ত্রই মানুষের ইচ্ছার বিকাশ ঘটায়।’
মির্জা ফখরুল আরও জানান, আগামী ১৭ অক্টোবর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি গণতান্ত্রিক সনদে স্বাক্ষর হবে। সাংবিধানিক সংস্কার কমিশনের যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, তা সনদে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আর যেসব বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে, তা নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায়ে নির্ধারিত হবে।
সভায় জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সল আমিন, সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্না হান্নু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।