
ফাইল ছবি
মালয়েশিয়ায় কলিং ভিসায় বাংলাদেশি কর্মী পাঠাতে ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সির একটি অনুমোদিত তালিকা প্রকাশ হয়েছে—এমন দাবি করে সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্য সম্পূর্ণ গুজব বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ও জানিয়েছে, তারা এমন কোনো তালিকা বা নোটিশ প্রকাশ করেনি।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও বিভিন্ন অননুমোদিত প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়া ভুয়া নোটিশে বলা হয়, মালয়েশিয়া সরকার ২৫টি এজেন্সিকে অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মালয়েশিয়ার কোনো সরকারি ওয়েবসাইট বা অফিসিয়াল ঘোষণায় এর অস্তিত্ব নেই।
অতীতে ২৫ এজেন্সি নিয়ে আলোচনা থাকলেও দেশটির সাম্প্রতিক নীতিমালায় স্পষ্ট করা হয়েছে—কোনো নির্দিষ্ট তালিকা, কোটা বা মনোনয়ন নেই। বরং বিদেশি কর্মী নিয়োগপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বাড়াতে মালয়েশিয়া নতুন ই-ভিসা ও ডিজিটাল যাচাইকরণ পদ্ধতি চালু করেছে।
কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, কোনো এজেন্সিকে অনুমোদন দেওয়া হলে তা দুই দেশের সরকারি চ্যানেলের মাধ্যমেই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে। গুজবের ভিত্তিতে চুক্তি করা, টাকা দেওয়া বা পাসপোর্ট জমা না দেওয়ার জন্য সতর্ক করেছে সংস্থাটি।
মালয়েশিয়া প্রবাসী হারুনুর রশিদ বলেন, ভুয়া তালিকা ছড়িয়ে পড়ায় কর্মীদের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে এবং অনেকেই প্রতারণার শিকার হন। বিশেষজ্ঞদের মতে, দালালচক্র সামাজিকমাধ্যমকে ব্যবহার করে এমন গুজব ছড়ায়, যাতে অনিশ্চয়তার সুযোগ নিয়ে প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া যায়।
অভিবাসন নীতিবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. এম. নিয়াজ আসাদুল্লাহ বলেন, মালয়েশিয়ার শিল্পখাতে শ্রমের চাহিদা থাকলেও পুরো নিয়োগপদ্ধতি এখন ডিজিটালাইজেশন ও কঠোর নিয়ন্ত্রণের দিকে যাচ্ছে। তাই নির্দিষ্ট এজেন্সির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে সরাসরি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিয়োগ নেওয়াই এখন সরকারের লক্ষ্য। এ কারণে ভুয়া তালিকা ছড়ানোর ঘটনা দালালচক্রের অপতৎপরতার অংশ বলে মন্তব্য করেন তিনি।