
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাস অঞ্চল থেকে সেনা সরিয়ে নিতে কিয়েভকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী এলাকা না ছাড়লে রাশিয়া বলপ্রয়োগে দনবাস দখল করবে। বর্তমানে এ অঞ্চলের প্রায় ৮৫ শতাংশই মস্কোর নিয়ন্ত্রণে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দনবাস ছাড়ার প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করেছেন। খবর বিবিসির।
এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, মস্কোতে তাঁর দূত দলের বৈঠক “যথেষ্ট ভালো” হলেও সমঝোতার জন্য দুই পক্ষেরই সহযোগিতা প্রয়োজন। দনবাসের ইউক্রেন-নিয়ন্ত্রিত অংশ পুতিনের হাতে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব ছিল মার্কিন শান্তি পরিকল্পনার প্রাথমিক খসড়ায়, যা পরে সংশোধন করে মস্কোতে উপস্থাপন করা হয়েছে।
ভারত সফরের আগে ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, মার্কিন পরিকল্পনার কিছু বিষয়ে রাশিয়া একমত নয় এবং আলোচনায় বেশ কিছু অচলাবস্থা রয়ে গেছে। রুশ দখলকৃত অঞ্চলের ভবিষ্যৎ ও ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা—এই দুই প্রধান বিষয়ে এখনো মতবিরোধ অটুট।
রাশিয়ার শীর্ষ আলোচক ইউরি উশাকভ জানিয়েছেন, সর্বশেষ আলোচনায় কোনো সমঝোতা হয়নি। রুশ বাহিনীর সাম্প্রতিক অগ্রগতি মস্কোর দর-কষাকষির অবস্থান আরও শক্ত করেছে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
ইউক্রেন অভিযোগ করছে—রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধবিরতি আলোচনাকে ধীর করে আরও ভূখণ্ড দখলের চেষ্টা করছে। জেলেনস্কি বলছেন, যুদ্ধ শেষ করার “বাস্তব সুযোগ” তৈরি হলেও চাপ বজায় রেখে আলোচনায় যেতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতিনিধিরা–সবাই শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে তীব্র আলোচনায় ব্যস্ত। ইউরোপের কয়েকজন নেতা উদ্বেগ জানিয়েছেন যে, নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিষয়টি স্পষ্ট না হলে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের ভূখণ্ড নিয়ে “ছাড় দিতে” পারে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মার্কিন শান্তি–টিম রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে একটি “শক্তিশালী ও বাস্তবসম্মত” শান্তি কাঠামো তৈরি করতে কাজ করছে।
২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ ভূমি রাশিয়ার দখলে, এবং বর্তমানে দক্ষিণ–পূর্ব ফ্রন্টে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে রুশ বাহিনী।