
ছবি: সংগৃহীত
নারী ফুটসাল বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই চ্যাম্পিয়নের মুকুট জিতেছে ব্রাজিল। ম্যানিলার ফিলস্পোর্টস এরেনায় গ্যালারিভর্তি দর্শকের সামনে তারা ৩-০ গোলে হারায় পর্তুগালকে।
দীর্ঘদিন ধরেই ব্রাজিলে ফুটসালকে মূল প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে দেখা হয়। সাবেক বিশ্বসেরা রোনালদিনহো বহুবার বলেছেন যে ফুটসালই তার স্পর্শ, সৃজনশীলতা ও ছোট স্পেসে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা শাণিত করেছে। ব্রাজিল নারী দলের খেলা দেখেও সেই ছাপ স্পষ্ট। টুর্নামেন্টজুড়ে আত্মবিশ্বাসী ছন্দে খেলেছে দলটি।
ম্যাচে পর্তুগালের গোলরক্ষক আনা কাতারিনা পেরেইরা কয়েকটি দুর্দান্ত সেভ করলেও ৪০ মিনিটে ব্রাজিলের টেকনিক ও গভীরতা সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। লুইস কনসেইসাওয়ের দল লড়াই চালালেও শেষ পর্যন্ত ৩-০ ব্যবধানে হার মানে।
ব্রাজিল কোচ উইলসন সাবোইয়ার চোখে এই জয়ের মানে শুধু একটি ট্রফি নয়। তিনি বলেন, ‘আমি খুব খুশি। আমার খেলোয়াড়রা অসাধারণ, কোচিং স্টাফও চমৎকার। এই জয় বড় একটি প্রভাব রেখে যাবে। এটি স্কুল, ক্লাব ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটসালকে আরও জনপ্রিয় করবে। এতে আরও ভালো কোচ ও খেলোয়াড় তৈরি হবে।’
পর্তুগাল কোচ কনসেইসাও নিজের দলের জন্য গর্ব অনুভব করেন। তিনি বলেন, ‘ব্রাজিলকে অভিনন্দন। তারা ভালো খেলেছে। আমরা দারুণ একটি প্রতিযোগিতা খেলেছি। এই পর্যায়ে এসে আমরা গর্বিত। ব্রাজিল খুব শক্তিশালী দল, তাদের অনেক খেলোয়াড়ই দুর্দান্ত। আমি আমার খেলোয়াড়দের জন্য গর্বিত। আমরা পর্তুগিজ নারী ফুটসাল ও পর্তুগালকে সম্মান দিয়েই খেলেছি।’