
প্রতিবেশী কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্তে উত্তেজনা ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলমান অবস্থায় শুক্রবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন। এর ফলে আগামী বছরের শুরুতেই দেশটিতে সাধারণ নির্বাচনের পথ খুলে গেল।
গত আগস্টে নৈতিকতা লঙ্ঘনের অভিযোগে পেতাংতার্ন সিনাওয়াত্রা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ভুমজাইথাই পার্টির নেতা অনুতিন প্রধানমন্ত্রী হন। দায়িত্ব গ্রহণের তিন মাস না পেরোতেই তিনি সংসদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। আগে ধারণা করা হয়েছিল বড়দিনের পর তিনি এই ঘোষণা দেবেন।
শুক্রবার রয়াল গেজেটে প্রকাশিত ডিক্রিতে জানানো হয়- নতুন সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রতিনিধি পরিষদ ভেঙে দেওয়া হলো। গেজেটে সরকারপ্রধানের ভাষ্য উদ্ধৃত করে বলা হয়, সরকার বর্তমানে সংখ্যালঘু প্রশাসন হিসেবে চলছে এবং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা মোকাবিলায় ধারাবাহিকতা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে সর্বোত্তম সমাধান হলো পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নতুন ম্যান্ডেট অর্জন করা।
ঠিক এমন সময়ে এ সিদ্ধান্ত এল, যখন কম্বোডিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি উপেক্ষা করে সীমান্তে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন, বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ছয় লাখ মানুষ। পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠায় থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এখন অনেকটাই আসন্ন নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে।
সূত্র: এএফপি