
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও, থামছেই না ইসরায়েলি হামলা। সম্প্রতি গাজায় হামাসের সামরিক শাখার উপ-প্রধান রায়েদ সাদসহ চারজনকে হত্যা ও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন।
গতকাল ওভাল অফিসে এক প্রশ্নের জাবাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, হামাস নেতাকে হত্যার মাধ্যমে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে কি না সে বিষয়ে তার প্রশাসন খতিয়ে দেখছে।
মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, হোয়াইট হাউস থেকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ‘কঠোর ব্যক্তিগত বার্তা’ পাঠানো হয়েছে। বার্তায় বলা হয়েছে, গত শনিবার গাজা সিটিতে রায়েদ সাদ ও আরও তিনজনকে হত্যার ঘটনাকে ট্রাম্প প্রশাসন যুদ্ধবিরতি চুক্তির লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করছে।
সংশ্লিষ্ট মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই হামলার আগে ইসরায়েল সরকার ওয়াশিংটনকে কোনো তথ্য জানায়নি, কিংবা পরামর্শও নেয়নি।
গাজায় হামাসের শীর্ষ নেতা খালিল আল-হাইয়া নিশ্চিত করেন, ইসরায়েলি হামলায় রায়েদ সাদ নিহত হয়েছেন। জায়নবাদীরা রায়েদ সাদকে হত্যার জন্য এর আগেও একাধিকবার চেষ্টা চালিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত শনিবার এক বিমান হামলায় তার মৃত্যু হয়। অথচ, গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি চুক্তি চলমান রয়েছে।
ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ বলছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩৯১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ হাজার ৬৩ জন আহত হয়েছেন।