
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে কেন্দ্র করে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. সানাউল্লাহ জানান, যৌথ বাহিনীর অভিযান বর্তমানে চলমান রয়েছে এবং এর ফলাফল নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জনগণকে জানানো হবে। তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিদিন গড়ে প্রায় দুই হাজার জনকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।”
এর আগে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান বা তাঁদের মনোনীত প্রতিনিধি, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, আইজিপি, এনএসআই, ডিজিএফআই, কোস্টগার্ড, বিজিবি, র্যাব ও আনসার-ভিডিপির মহাপরিচালকবৃন্দ এবং ডিএমপি কমিশনার।
বৈঠকে অন্য চার নির্বাচন কমিশনার এবং ইসি সচিবও উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা ও কৌশল নির্ধারণই ছিল এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য।
বিকেলে বৈঠকের আগে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিনের সাথে একান্ত বৈঠক করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান।
ভোটের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের সাথে তিন বাহিনী প্রধানের এটিই প্রথম আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ। এই সাক্ষাতে আসন্ন নির্বাচন ও গণভোটে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা ও সহায়তার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।