ক্রিকেটে কত কিছুই না ঘটে! কিন্তু এমন আউট কি কখনও দেখেছেন? বিগ ব্যাশে অদ্ভুত এক আউট নিয়ে রীতিমত তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ক্রিকেটীয় আইনে যেটাকে আউট হিসেবে ধরে নিলেও আদতে ব্যাটসম্যান কিংবা ব্যাটিং দলের সমর্থকদের জন্য মেনে নেয়া ছিল ভীষণ কঠিন। ঘটনা বৃহস্পতিবার ব্রিসবেন হিট আর হোবার্ট হ্যারিকেনের মধ্যকার ম্যাচের। দারুণ
তামিম ইকবাল নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ দলের সেরা ব্যাটসম্যান। যেদিন তিনি একবা ভালো সূচনা এনে দেবেন, সেদিন বাংলাদেশের রানও চলে যাবে অনেক দূর- এটা বলাই বাহুল্য। অথচ সেই তামিমের ব্যাটে রান নেই। পুরো বিশ্বকাপে কেবল একটি হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। বিশ্বকাপের পরও ব্যর্থতার মিছিল চলছেই তামিমের। গত এক বছর ব্যাট হাতে দারুণ ব্যর্থ
‘গোটা বিশ্ব দেখল এটা ড্রপ ক্যাচ অথচ থার্ড আম্পায়ার দেখলেন এটা আউট’ সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভের সাথে উঠে আসছে এমন বক্তব্য। আলিম দার বরাবরই বাংলাদেশিদে ক্রিকেট অনুরাগীদের নিকট একটি বিতর্কিত নাম। বাংলাদেশের বিপরীতে খেলায় তার বিচারকার্যে পক্ষপাত রয়েছে এটা পুরনো অভিযোগ- সেই অভিযোগের আরেকটি দৃষ্টান্ত দেখল দেশের ক্রীড়াপ্রেমীরা। ব্যাক্তিগত ১৬ রানে
লিটন দাসের এক আউট নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। বিতর্কটা হয়তো কিছুটা চেপে যেত, যদি বাংলাদেশ এশিয়া কাপের ফাইনালটায় সহজেই হেরে যেত। তেমনটা হয়নি। ভারতের বিপক্ষে তারা হেরেছে একেবারে শেষ বলে এসে। এমন হারের পর স্বভাবতই আফসোসটা আরও বেড়েছে-ইশ, লিটন আর দুই চারটা বল বেশি খেলতে পারলেও হয়তো ট্রফিটা জিতে যেতাম আমরা!
প্রতিপক্ষ ভারত। সুতরাং, যেমন ইচ্ছা তেমন আউট দিয়ে দিতেই হবে- এমন মানসিকতাই যদি ম্যাচের আম্পায়ার এবং অফিসিয়ালদের থেকে থাকে, তাহলে আর খেলার দরকারই বা কী? আগে থেকে ভারতকে ট্রফিটা দিয়ে দিলেই হয়। সবই তো পূর্বনির্ধারিত। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ হওয়া মানেই সেখানে আম্পায়ারের নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্ব থাকবেই। সেটা মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে হোক, সেটা
৯ মিনিটের নাটক। আর তাতে ‘জীবন’ ফিরে পেয়ে ৫২ রানের ইনিংস খেলে ফেললেন মাহমুদউল্লাহ। অথচ তিনি রানআউট হয়ে গিয়েছিলেন ৩২ রানেই, ইনিংসের ৪৫তম ওভারের শেষ বলে সিকান্দার রাজার সরাসরি থ্রোতে। তা কী করে হয়? টেলিভিশন রিপ্লেতে তো পরিষ্কার দেখা গেল থ্রোটা স্টাম্পে লাগার আগেই জিম্বাবুয়ের উইকেটকিপার রেজিস চাকাভার গ্লাভসে লেগে
আম্পায়ারের পরিচয়ের আড়ালে অবশ্য অদৃশ্য হয়ে গেছে তাঁর লেগ স্পিনার পরিচয়টাই। ১৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে আইসিসির এলিট প্যানেলের এ আম্পায়ারের। পেয়েছেন ১১ উইকেট। তবে এই পরিচয় আলীম দার নিজেই দেন না। খেলোয়াড়ি জীবনটা যত অনুজ্জ্বল ছিল, ততটাই শত গুণ উজ্জ্বল আম্পায়ারের জীবনটাই। অনুশীলনে’র পর দেখা মিলল আরেক
ক্রিকেট দল, নাকি হাঁসের খামার! এক-দুজন ব্যাটসম্যান নয়। পাঁচ-ছয়জনও নয়। একে একে নয়-নয়জন ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন শূন্য রানে। সংখ্যাটা দশও হতে পারত। হতে হতে হয়নি। একজন আউট হয়েছেন ১ রান করে। এক ইনিংসেই এত ডাকের ডাকাডাকি পেশাদার ক্রিকেটের আর কখনো হয়েছে কি না,ক্রিকেটের পরিসংখ্যানবিদদের রীতিমতো গলদঘর্ম হতে হচ্ছে। পেশাদার ক্রিকেট