ইতিহাস গড়ার হাতছানি নিয়ে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতে লিড নেয় টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। যেখানে শুরুটা ভালো করলেও পরবর্তীতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে উদ্বোধনী
১৯ রানেই নেই ৩ উইকেট। মনে হচ্ছিল, এবার অল্পতেই গুটিয়ে যাবে আফগানিস্তান। কিন্তু শেষতক দেখা গেল উল্টো চিত্র। মোহাম্মদ নবীর বিধ্বংসী এক ইনিংসে এই আফগানিস্তানই ৬ উইকেটে তুলেছে ১৬৪ রান। অর্থাৎ জিততে হলে ১৬৫ করতে হবে বাংলাদেশকে। মিরপুরে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই চাপে পড়েছিল আফগানিস্তান। ইনিংসের প্রথম ডেলিভারি,
ইনিংসের বেশিরভাগ সময়ই লাগামছাড়া বোলিং করেছে বাংলাদেশ। সেইসঙ্গে ছিল দৃষ্টিকটু ফিল্ডিং আর ক্যাচ মিস। যে সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে বড়সড় সংগ্রহই দাঁড় করিয়েছে শ্রীলঙ্কা। কলম্বোয় স্বাগতিক দল ৮ উইকেটে তুলেছে ৩১৪ রান। অর্থাৎ জিততে হলে ৩১৫ করতে হবে টাইগারদের। লাসিথ মালিঙ্গার বিদায়ী ওয়ানডেতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। তৃতীয়
ভয়ংকর রোহিত শর্মার ক্যাচ তামিম ইকবাল ছাড়ার পর ম্যাচের অর্ধেক সময় পর্যন্ত মনে হয়েছিল ৪শ করতে পারে ভারত! ১৮০ রানের ওপেনিং জুটি সৌম্য সরকার ভাঙার পর দ্রুতই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় বাংলাদেশ। ভারতের রান উৎসবে ভাটা পড়ে। ভয়ংকর হয়ে ওঠা মুস্তাফিজুর রহমান তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০
শুরুটা যেভাবে করেছিলেন দুই ওপেনার জনি বেয়ারেস্ট এবং জেসন রয়, মাঝে কিছুটা ভাটা পড়েছিল। কিন্তু শেষ দিকে এসে বেন স্টোকস আবার ঝড় তোলেন। তার এই এক ঝড়েই রান ৩০০ তো পার হলোই, ভারতের সামনে ৩৩৮ রানের বিশাল এক লক্ষ্য দাঁড় করিয়ে দিলো ইংল্যান্ড। বার্মিংহ্যামের এজবাস্টনে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে
টসে জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত যেন বুমেরাং হয়ে দাঁড়ালো আফগানিস্তানের সামনে। হেডিংলির লিডসে পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় সংগ্রহের উদ্দেশ্যে আগে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ২২৭ রানেই থেমে গেল তাদের রানের চাকা। পাকিস্তান বোলারদের বোলিং তোপে একসময় ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া আফগানরা এই সংগ্রহ পায় আসগর আফগান ও নাজিবুল্লাহ জাদরানের ব্যাটিং দৃঢ়তায়।
শুরুতে অ্যারোন ফিঞ্চ আর ডেভিড ওয়ার্নার মিলে যে ঝড় তুলেছিলেন এবং যেভাবে রানের চাকা দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলছিল, অস্ট্রেলিয়ার তাতে সবাই ধরে নিয়েছিল অন্তত ৩৪০ কিংবা ৩৫০ প্লাস রান হয়ে যাবে আজ। কিন্তু শেষ ১০ ওভারে অস্ট্রেলিয়াকে বেশ ভালোভাবেই চেপে ধরতে পেরেছিল ইংলিশ বোলাররা। তাতেই অস্ট্রেলিয়া থেমে গেলো ৩০০ রানের
সাউদাম্পটনের এই পিচ ততটা ব্যাটিং সহায়ক নয়। ব্যাটে বল আসে দেরিতে। এই মাঠেই একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ভারত ৮ উইকেটে মাত্র ২২৪ রান করতে পেরেছিল। ম্যাচটি তারা জিতেছেও। আজ (সোমবার) এই আফগানদের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ২৬২ রানের পুঁজি গড়েছে বাংলাদেশ । উইকেট যেমন, তাতে এই রানটাকে মোটামুটি ভালো সংগ্রহই বলা যায়।
সেমির সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে হলে অবশ্যই জিততে হবে। সমীকরণটা দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পাকিস্তান দু’দলের জন্যই সমান। হারলেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে। লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এমন সমীকরণের ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে হারিস সোহেল আর বাবর আজমের অসাধারণ ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে প্রোটিয়াদের সামনে ৩০৯ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে
শেষদিকে মোটামুটি নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। কিন্তু ক্যারিবীয়দের বড় সংগ্রহ আটকে রাখা সম্ভব হয়নি। টনটনে ৮ উইকেটে ৩২১ রানের পুঁজি দাঁড় করিয়েছে জেসন হোল্ডারের দল। অর্থাৎ জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ৩২২ রান। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বাংলাদেশি বোলারদের তোপের মুখে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বোলিং উদ্বোধন করেন