ফ্রি ভিসায় বিদেশ যাওয়া ক্ষতিকর। এমনকি ফ্রি ভিসায় বিদেশ গেলে প্রতারণার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সঠিক নিয়ম না জেনে বিদেশে গিয়ে অনেকেই বিপাকে পড়েন। যে কারণে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ফ্রি ভিসায় বিদেশ না যেতে উৎসাহিত করে। ফ্রি ভিসার বিপদ— ১. অবৈধভাবে কাজে নিয়োজিত হয়ে ভোগান্তি শুরু
পরিবারের আর্থিক অনটন দূর করে একটু সচ্ছলতা আনতে ফ্রি ভিসায় কুয়েতে আসেন ঢাকার কেরানীগঞ্জের সাব্বির আহমেদ জুয়েল। না, তিনি পারেননি পরিবারের অভাব-অনটন ঘোচাতে। নিঃস্ব হয়েই দেশে ফিরে গেলেন তিনি। ২০১৬ সালের অক্টোবরে কাজের উদ্দেশ্যে কুয়েত আসেন সাব্বির। শুধু সাব্বির নন, খাদেম ফ্রি ভিসায় এসে তার মতো প্রতিদিন এই রকম অনেকেই
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, বাহরাইন ও কাতারে উল্লেখযোগ্য হারে বাংলাদেশি দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিক রয়েছে। আমিরাতে বর্তমানে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ। তবে বন্ধ দেশগুলোয় শ্রমিক নিয়োগ ফের শুরু করতে সরকার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে গেলেও বাংলাদেশিদের শ্রমবাজার চাহিদা অনুযায়ী উন্মুক্ত হচ্ছে না। ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম, আমিরাতে
ফ্রি ভিসার নামে অভিনব কায়দায় প্রতারণা চলছে। বাস্তবে এর অস্তিত্ব না থাকলেও এই ভিসার নাম করে মধ্যপ্রাচ্যসহ কয়েকটি দেশে শ্রমিক পাঠানো হচ্ছে। বৈধ ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট না থাকায় এসব দেশে গিয়ে কোনো কাজ পাচ্ছেন না শ্রমিকেরা। ফলে প্রবাসে অমানবিক জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, দুবাই, ওমানসহ
‘ফ্রি ভিসায়’ পারস্য উপসাগরের দেশ কাতারে গিয়ে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা। বিভিন্ন অপরাধে ২৪০ জন সাজাপ্রাপ্ত বাংলাদেশি দেশটির জেলে বন্দি রয়েছেন। এর মধ্যে ১৪৫ জন মাদক সংক্রান্ত অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত। খণিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস সমৃদ্ধ দেশটিতে ফিফা বিশ্বকাপ উপলক্ষে অধিকাংশ উন্নয়ন কাজ শেষ হওয়ায় প্রবাসীরা বেকার হয়ে পড়ছে।
‘সাড়ে সাত লাখ টাকা খরচ করে কুয়েতে এসেছি। সোনার হরিণের খোঁজে এসে ছাইও মেলেনি। ভেবেছিলাম পরিবারে অভাব মোচন করব। তাই শত কষ্ট করে টাকা-পয়সা জোগাড় করে কিছু করার আশায় পাড়ি জমালাম। কিন্তু এখানে এসে হতাশা ছাড়া কিছুই দেখছি না। আমার কী অবস্থা বুঝতে পারছি না।’ আবেগাপ্লুত হয়ে কথাগুলো বলছিলেন ফটিকছড়ির
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার আল আমিন (৩৫)। গ্রামে অন্যের জমিতে কাজ করতেন। কিন্তু অন্যকে মজুরি দিয়ে যে টাকা রোজগার হতো, সে আয়ে তার সংসার ভালো চলছিল না। তাই একটু বাড়তি আয়ের আশায় বউয়ের সোনার অলংকার বিক্রি করে ৮০ হাজার এবং গ্রামের সমিতি থেকে ঋণ করে আরও ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা
ফ্রি ভিসার নামে অভিনব কায়দায় প্রতারণা চলছে। বাস্তবে এর অস্তিত্ব না থাকলেও এই ভিসার নাম করে মধ্যপ্রাচ্যসহ কয়েকটি দেশে শ্রমিক পাঠানো হচ্ছে। বৈধ ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট না থাকায় এসব দেশে গিয়ে কোনো কাজ পাচ্ছেন না শ্রমিকেরা। ফলে প্রবাসে অমানবিক জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। সম্প্রতি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ওমানে
বেশ কয়েকবার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন তিনি। পাননি। তবে একেবারে শূন্য হাতে তাঁকে ফেরায়নি এ দেশ। ৫৭ বছর ধরে এ দেশে মানুষের সেবা করেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জীবনের মায়া তুচ্ছ করে যুদ্ধাহত ব্যক্তিদের শুশ্রূষা করেছেন। মানবদরদি এই ব্রিটিশ নাগরিক লুসি হেলেন ফ্রান্সিস হল্টের ভিসা ফি মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে