মালয়েশিয়ায় মানবপাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের হত্যা, গণকবর দেওয়া, ধর্ষণ, শারীরিক নির্যাতন, মুক্তিপণ আদায়সহ যেসব অপরাধ মানবপাচারকারীরা করছে, সেগুলো মানবতাবিরোধী অপরাধ। আন্তর্দেশীয় ওই অপরাধী চক্রকে চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ উপেক্ষিত হয়ে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার মানবাধিকার কমিশন ও
উন্নত জীবনের মোহে আফ্রিকা থেকে ইউরোপের পথে পাড়ি জমাতে গিয়ে প্রতিদিন শত শত শরণার্থী অপহৃত হচ্ছে। পরে তাদের বিক্রি করে অপহরণকারীরা আয় করছে হাজার হাজার ডলার। শুধু তাই নয় এসব শরণার্থীর উপর চলছে ধর্ষণ এবং হত্যাযজ্ঞ। আর এসব ভয়াবহ ঘটনাগুলো সংঘটিত হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ লিবিয়াতে। সম্প্রতি কাতারভিত্তিক বার্তাসংস্থা আল জাজিরা
লিবিয়ায় বাড়ি, গাড়ী কিংবা জমি বিক্রির মত নিলাম ডেকে মানুষ বিক্রি করার খবর পাওয়া গেছ। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যম সিএনএনের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন ভয়ঙ্কর খবর। লিবিয়ার অজ্ঞাত কোন এক স্থানে আগস্ট মাসে এ নিলাম হয় বলে দাবি করা হয়েছে ভিডিওতে। সেখানে দুই ব্যক্তিকে এক হাজার ২০০ লিবীয় দিনারে বিক্রি
ইরাক থেকে ফিরে আসা ইঞ্জিনিয়ার মো. সিদ্দিক সেখানে পাচারের শিকার বাংলাদেশিদের ওপর বর্বর নির্যাতনের বর্ণনা দিলেন। শনিবার যশোর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইঞ্জিনিয়ার সিদ্দিক জানান, শ্রম পাচারের নামে বাংলাদেশের কতিপয় রিক্রুটিং এজেন্সি বিদেশে মানুষের কেনাবেচার হাটে তুলে বিক্রি করছে। সেখানে বিক্রি বাংলাদেশিদের দাস হিসেবে কিনে স্থানীয়রা তাদের ওপর চালাচ্ছে নারকীয়