এবার পাকস্থলীতে করে ইয়াবা পাচার!

yabaঅভিনব কায়দায় পাচার করা হচ্ছে ইয়াবা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতেই পাকস্থলীতে করে ইয়াবা পাচারের কৌশল বেছে নিয়েছে একটি চক্র। রাজধানীর মিরপুর ও বাবুবাজার ব্রিজ এলাকা থেকে এই চক্রের দুইশিশুসহ আটজনকে গ্রেফতারের পর বিষয়টি সামনে আসে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার ইয়াবা। চিকিৎসকদের মতে, পাকস্থলীতে করে ইয়াবা পাচারের কারণে ক্যান্সারের আশঙ্কা রয়েছে।

গেলো বছরের মাঝামাঝিতে দেশজুড়ে মাদকবিরোধী অভিযান জোরদার হওয়ার পরই পাকস্থলীতে করে ইয়াবা পাচারের কৌশল বেছে নেয় মাদক ব্যবসায়ীরা। এ কারণে তথ্যটা আগে থেকেই জানা ছিলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর। সে অনুযায়ী অবস্থান নেয় বাবুবাজার ব্রিজের কাছে। কক্সবাজার থেকে পাকস্থলীতে করে ইয়াবা নিয়ে আসা দুই শিশুকে আস্তানায় নিয়ে যাবার জন্য অপেক্ষা করছিলো মাদক কারবারীরা।

পরে হাসপাতালে নিয়ে এক্সরে করার পর শিশুদের পেটে ইয়াবা থাকার কথা নিশ্চিত করেন চিকিৎসক। দুটি শিশুর পেটে ছোট ছোট ৯৫টি পুটলিতে ছিলো সাড়ে চার হাজার ইয়াবা। চিকিৎসকরা বলছেন, এভাবে পাকস্থলীতে করে ইয়াবা বহনে ক্যানসারের ঝুঁকি রয়েছে।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, মিরপুরে ইয়াবা সরবরাহ করার সময় লোকমান ও রঞ্জু নামে দুজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেন তারা। এই দুজনের তথ্য পেয়ে বাবু বাজার থেকে আটক করা হয় ঐ শিশুদের। এদের মধ্যে লোকমানের দায়িত্ব ছিলো ইয়াবা বাহকদের আস্তানায় নিয়ে গিয়ে বিশেষ একটি সিরাপ খাইয়ে পাকস্থলী থেকে ইয়াবা বের করে সরবরাহের জন্য প্রস্তুত করা। আর রঞ্জু ছিলো বিভিন্ন স্পটে মাদক পৌঁছে দেয়ার দায়িত্বে।

মাদক ব্যবসায়ী রঞ্জু বলেন, ‘কেরানীগঞ্জ থেকে লইতাম। মিরপুর আসতাম। নাম্বার দেওয়া থাকতো। এরপর গ্রাহকের কাছে আমি পৌঁছে দিতাম।’ মাদক ব্যবসায়ী লোকমান বলেন, ‘ওরা কক্সবাজার থেকে আসতো আমরা রিসিভ করতাম বাবু বাজার থেকে।’

পরে তাদের দেয়া তথ্যে কেরানীগঞ্জের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে কাগজের কার্টনের ভেতর থেকে উদ্ধার হয় আরো প্রায় ২৫ হাজার ইয়াবা। পুলিশের দাবি, মাদক পাচার ও সরবরাহে কড়াকড়ির কারণেই এমন অভিনব কায়দা বেছে নিচ্ছে মাদক কারবারীরা। এই চক্রটির মূলহোতা স্বপন নামে এক ব্যক্তি। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানায় পুলিশ।