Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বিদেশি কর্মীদের শ্রমের স্বীকৃতি দিলেন মাহাথির মোহাম্মদ

malasia-mahathirসমৃদ্ধ মালয়েশিয়া গড়ার কারিগরদের শ্রমের স্বীকৃতি দিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। আধুনিক মালয়েশিয়ার স্বপ্নদ্রষ্টা তুন মাহাথির মোহাম্মদ দেশের উন্নতির জন্য সমগ্র স্থানীয় ও বিদেশি কর্মীদের একইভাবে প্রশংসা করেছেন।

তিনি বলেন, ‘এ উন্নতির ফল উপভোগ করার সময়, আমাদের মনে রাখা উচিত যে, আমাদের আরাম বিদেশিদের কষ্ট ও ঘামের কারণেই হয়েছে। বিদেশি কর্মীরা এমন লোক, যারা কষ্ট করে এবং ঘাম ঝরিয়ে আমাদের প্রয়োজন বা চাহিদা মেটাচ্ছে, যার মধ্যে আমাদের খাবার রয়েছে।’

মঙ্গলবার (৪ মে) প্রধান নেটওয়ার্ক ও মিডিয়া চ্যানেলে ঈদ উপলক্ষে দেশবাসীকে জানানো অভিবাদন বক্তব্যে এসব কথা বলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। মাহাথির বলেন, ‘বিদেশি কর্মী ছাড়া, আমাদের দেশ একটি দরিদ্র জাতি হিসেবে থাকবে।’ তবে মাহাথির সরকার গঠন করার পর বিগত এক বছর বিদেশি কর্মী নিয়োগ স্থগিত আছে মালয়েশিয়ায়। কল কারখানায় উৎপাদন কমে গেছে। অবৈধ অভিবাসী কর্মী মালয়েশিয়ায় বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে। তাছাড়া কর্মী ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নিচে থাকা এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকার অভিযোগ ঝুলে আছে মালয়েশিয়ার ওপর।

অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয়, দালালের দৌরাত্ম্য এবং শ্রমিকদের আয়ে এজেন্টের ভাগ বসানো ইত্যাদি অভিযোগ আমলে নিয়ে মাহাথির সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ইতোমধ্যে বিদেশি কর্মী বাছাই, নিয়োগ ও প্রত্যাবর্তন সম্পর্কিত স্বাধীন কমিটির রিপোর্ট সরকার গ্রহণ করেছে। এর আলোকে কর্মীদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে সচেষ্ট। সবাই আশা করছে নিয়ম কানুনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কর্মী আসবে।

ভারত, নেপাল, ফিলিপাইন, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশসহ ১৫টি উৎস দেশ থেকে বিদেশি কর্মী নিয়োগ দেয় মালয়েশিয়া। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ ইন্দোনেশিয়ার কর্মী। এরপর নেপাল, তারপর বাংলাদেশের কর্মী রয়েছেন। এদের মধ্যে দক্ষ, পরিশ্রমী, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশের সারথিরা। কুয়ালালামপুরের টুইন টাওয়ার, এম আরটি, তুনরাজ্জাক এক্সচেঞ্জ, কেএল টাওয়ার, সানওয়ে পিরামিড, সাইবার জায়া, পোর্টক্লাং, পেনাংয়ের বাতুফিরিঙ্গি সৈকত, তেরেঙ্গানুর মসজিদ, মেলাকার মালয় রেস্তোরাঁ, পাহাঙ্গের চা বাগান, পেরাকের রাবার বাগান, লংকাউই দ্বীপ, পাম অয়েল সর্বত্র রয়েছে বাংলাদেশির শ্রম ও ঘাম।

যে উন্নয়নের রূপরেখা করে বাস্তবায়নের জন্য আত্মনিয়োগ করেন মাহাথির মোহাম্মদ তার প্রধান কর্মী ছিলেন বাংলাদেশের কর্মীরা। আজ সে রূপরেখা উন্নয়নের মাইল ফলক অতিক্রম করেছে।

সৌজন্যে- জাগো নিউজ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email