Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বাংলাদেশের অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি অনেকটাই নির্ভর করে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের উপর। সামনেই মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ। স্বভাবতই এ মাসেই সবচেরে বেশি রেমিট্যান্স আসার কথা ছিল। কিন্ত সে ধারণা একেবারেই ভুল প্রমাণিত হল। গত দুই মাসের তুলনায় মার্চে রেমিট্যান্স প্রবাহ খুবই কম। সম্পূর্ণভাবে রেমিট্যান্স আসা বন্ধ রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ১টি ব্যাংকসহ ১টি বিশেষায়িত ব্যাংক, ৪টি বেসরকারি ব্যাংক এবং ৩টি বিদেশি ব্যাংকে।

chardike-ad

বছরের শুরুতেই রেমিট্যান্সের হার বেশ আশা জাগানিয়া ছিল। জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স আসে ২১০ কোটি মার্কিন ডলার। পরিমাণে অল্প হলেও ফেব্রুয়া‌রি‌তে রেমিট্যান্স বেড়ে জমা হয় ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। কিন্ত এখন সে প্রবাহের স্রোত বইতে উল্টোদিকে।

২৪শে মার্চ, রবিবার, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদে উঠে আসে এ মাসের নিম্নমুখী রেমিট্যান্সের মুখে। সাথে সাথে জানা যায় ৯টি ব্যাংকে আসছে না কোনো রেমিট্যান্স। এ মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৮ কোটি ২৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে দুই কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১২০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৭ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। প্র‌তি ডলার ১১০ টাকা হিসাব করলে দাঁড়ায় ১৫ হাজার ২০৮ কোটি টাকা।

রেমিট্যান্স প্রবাহ বন্ধ থাকা ব্যাংকগুলোর তালিকায় আছে আলোচিত সময়ের রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এবং বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামি ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংকে কোনো প্রবাসী আয় পৌঁছেনি। এছাড়া বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।