Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

রংপুর, সিলেটে আকস্মিক বন্যা; জলাবদ্ধ চট্টগ্রাম

nilphamari_bonna
নীলফামারীতে পানিবন্দী মানুষ। ছবিঃ ফোকাস বাংলা।

বাংলাদেশে কয়েকদিনের অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে রংপুর এবং সিলেট বিভাগের কিছু এলাকায় আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। গত তিনদিন যাবত উত্তরাঞ্চলের রংপুর, নিলফামারি এবং সিলেট বিভাগের কিছু এলাকায় আকস্মিক এ বন্যার কারণে এসব এলাকার প্রচুর মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। কেবল তিস্তায় বেড়ে যাওয়া পানির কারণেই নীলফামারী চরাঞ্চলে বন্দী হয়ে পড়েছেন অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিপাতে তিস্তা এবং সুরমা নদীর পানি বেড়ে গিয়ে এই আকস্মিক বন্যাগুলো হয়েছে। শনিবার থেকে তিস্তা নদীর পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও সুরমা নদীর পানি আরো কয়েকদিন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

chardike-ad

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকেই তিস্তার পানি বাড়তে থাকে। শুক্রবার রাত ১২টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার (বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৪০) ৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে নদীর পানি প্রবাহিত হয় বলে জানায় স্থানীয় বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্র। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যারাজের সবকটি স্লুইট গেইট খুলে রেখে পানি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে এবং নদীর তীরবর্তী এলাকায় ‘রেড এলার্ট জারি’ অব্যাহত রয়েছে।

সপ্তাহখানেক ধরে বাংলাদেশের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ছে এবং বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পানি আরো বাড়তে পারে। এছাড়াও সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে এখনো আকস্মিক বন্যার আশংকা রয়ে গেছে বলেও জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

water_logging_chittagong
জলাবদ্ধ চট্টগ্রাম। ছবিঃ বিডিনিউজ২৪.কম।

ওদিকে দুই দিনের টানা বর্ষণ ও জোয়ারের প্রভাবে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সড়ক ও এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। শুক্রবার সারাদিন ও রাতে ভারি বৃষ্টির পর শনিবার সকালে নগরীর কাপাসগোলা, বাদুরতলা, দুই নম্বর গেট, ষোলশহর, জিইসি ও ওয়াসার মোড় এলাকায় নতুন করে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এর আগে শুক্রবার থেকেই নগরীর বাকলিয়ার কিছু অংশ, আগ্রাবাদ এক্সেস সড়ক, কমার্স কলেজ রোড, শানিতবাগ, বড়পোল, ছোটপোল, হাজিপাড়া, মুহুরিপাড়া, হালিশহর ও সিডিএ আবাসিক এলাকা বৃষ্টি ও জোয়ারে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় ছিল।

সকাল ১০টার পর দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টি না হওয়ায় শনিবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওয়াসা, জিইসি, ষোলশহর এলাকায় পানি কমতে শুরু করেছে। তবে আগ্রাবাদ, হালিশহর ও বাকলিয়ার জলমগ্ন এলাকাগুলোর পানি কমেনি বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

জলাবদ্ধতার কারণে নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা ভোগান্তিতে পড়েছেন। পানি ডিঙ্গিয়েই স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও ‍অফিসগামীদের যাতায়াত করতে হচ্ছে।