Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সৌন্দর্য ধরে রাখতে জীবনের ঝুঁকি

womenসৌন্দর্য ধরে রাখার প্রচেষ্টা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। তবে পুরুষের তুলনায় নারীর মধ্যে এই প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যায়। তাইতো আদিকাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত নানা যুগে সৌন্দর্য সচেতন নারীরা সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য প্রাকৃতিক বা রাসায়নিক উপাদানের সাহায্য নিয়েছেন।

তবে সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন জার্মান অভিনেত্রী মনিকের মানোউস। তিনি সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য এমন এক অদ্ভুত পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন যেখানে তার জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা ছিল।

chardike-ad

নিজেকে আরো প্রাণবন্ত ও বয়সের ছাপ দূর করার জন্য এই অভিনেত্রী শরীরে প্রয়োগ করেছেন তিন মিলিয়ন বছরের পুরাতন ব্যাকটেরিয়া। ব্যাসিলাস এফ নামের এই ব্যাকটেরিয়া অত্যন্ত প্রাচীন। ২০০৯ সালে রাশিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে এই প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কৃত হয়। অবাক ব্যাপার হলো, বহু পুরনো হলেও এদের শরীরে বয়স বাড়ার কোনো ছাপ দেখা যায়নি। অর্থাৎ ব্যাকটেরিয়াগুলো জন্মের সময় ঠিক যেমন ছিল এখনো তেমন রয়েছে।

ব্যাসিলাস এফ ব্যাকটেরিয়া নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনাকারী বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই ব্যাকটেরিয়া যেহেতু লক্ষ লক্ষ বছর একই রকম থাকে সেহেতু এটি মানুষের সৌন্দর্য ধরে রাখার একটি কার্যকরী উপাদান হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তবে শরীরে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করানো মনিকার জন্য সহজ ছিল না। প্রথমত, তার পরিবার এ বিষয়ে তীব্র বিরোধী ছিল। কারণ এতে তার জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা ছিল। দ্বিতীয়ত, লাইসেন্স হারানোর ভয়ে জার্মানির কোনো চিকিৎসক তার শরীরে এটি প্রয়োগ করতে সাহস পাননি। ফলে মনিকা নিজের পথ নিজেই বেছে নেন। একজন চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে তিনি এক বন্ধুর সহায়তায় নিজেই শরীরে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করান। প্রতি দুই সপ্তাহ পর পর তিনি শরীরে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করান এবং আশা করেন খুব দ্রুত তিনি এর সুফল পাবেন।

বারক্রোফট টেলিভিশন চ্যানেলে দেয়া এক সাক্ষৎকারে মনিকা বলেন, ‘দীর্ঘ মেয়াদে এর প্রভাব কী হবে জানি না। তবে আমি ভালো বোধ করছি। ঝুঁকি অবশ্যই আছে। তবে ঝুঁকি না নিলে কি সফলতা আসে? আমি জানি এটা আমাকে বিশ বছরের তরুণীর মতো রূপবতী করবে না। তবে আমি আশি বা নব্বই বছর পর্যন্ত সুন্দরভাবে বাঁচতে চাই।’