রাশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়েছিল মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের ফ্লাইট এমএইচ-১৭। আজ বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসের তদন্তকারীরা এ দাবি করেছেন, কুরুস্ক শহরে রাশিয়ার ৫৩ অ্যান্টি এয়ারক্রাফট ব্রিগেড থেকে ছোড়া হয়েছিল ওই ক্ষেপণাস্ত্র। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
২০১৪ সালের ১৭ জুলাই ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। আমস্টারডাম থেকে কুয়ালালামপুরে যাচ্ছিল বিমানটি। ইউক্রেনের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়ে বিমানে থাকা ২৯৮ জনের সবাই নিহত হন।
ডাচ তদন্তকারীরা বলছেন, রাশিয়ায় তৈরি বাক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই এটি বিধ্বস্ত হয়েছিল। এ অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া। তবে আজ ডাচ তদন্তকারী দলের প্রধান উইলবার্ট পলিসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী সব যানই রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর অংশ ছিল।’
প্রায় চার বছর ধরে যৌথ তদন্তকারী দল (জেআইটি) এ ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনে কাজ করছে। তদন্তকারী প্যানেল নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, মালয়েশিয়া ও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা রয়েছেন। ২০১৫ সালের অক্টোবরের ডাচ নিরাপত্তা কমিটি ঘোষণা করে যে প্লেনটি রাশিয়ার তৈরি বাক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের ভূপতিত হয়।
পরে ২০১৬ সালে নেদারল্যান্ডসের তদন্তকারীরা জানান, রুশ ক্ষেপণাস্ত্র বাক-৯এম৩৮-এর আঘাতেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। রুশপন্থী বিদ্রোহীরা ক্ষেপণাস্ত্র চেয়ে রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। পূর্ব ইউক্রেনে বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত এলাকায় এই অস্ত্র এসে পৌঁছানোর কথাও তারা জানিয়েছিল। ওই সময় সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ঘটনার পর ক্ষেপণাস্ত্রগুলো রাশিয়াকে ফেরত দিয়ে দেয় বিদ্রোহীরা।