Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

saudi-israelরাজতান্ত্রিক সৌদি আরবের সরকার ১৯৭৩ সালের ‘অক্টোবর যুদ্ধে’র পর ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়েছিল বলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের প্রকাশ করা এক গোপন নথিতে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডলইস্ট মনিটর জানিয়েছে, ১৯৭৮ সালের আপোসকামী ‘ক্যাম্প ডেভিড’ চুক্তি সম্পন্ন করতে দেশটির কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালনের কথাও উল্লেখ রয়েছে এতে।

১৯৬৭ সালে আরবদের বিরুদ্ধে ৬ দিনের যুদ্ধে মিসর ও সিরিয়ার অনেক এলাকা দখল করে নেয় ইসরায়েল। এলাকাগুলো পুনরুদ্ধারের জন্য ১৯৭৩ সালের ৬ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর একযোগে হামলা শুরু করে আনোয়ার সাদাতের মিসর এবং হাফিজ আল আসাদের সিরিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ও নৌবাহিনী ইসরায়েলের সঙ্গে যোগ দিলে আরব দেশ দুটি আগের চেয়েও বেশি এলাকা হারিয়ে ফেলে। ওই সময় দেশ দুটিকে সহায়তা করতে ইরাক, লিবিয়া, জর্ডান, সৌদি আরব, তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া, মরক্কো সেনা পাঠানো শুরু করে। কিউবা ও রাশিয়া সিরিয়ার পক্ষ নেয়। ইসরায়েল ও আরবদের মধ্যে ১৯ দিন স্থায়ী যুদ্ধটি ‘অক্টোবর যুদ্ধ’ নামে পরিচিত। ওই যুদ্ধের পর ১৯৭৮ সালে ‘ক্যাম্প ডেভিডে’ দৃশ্যত ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি সই করেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত।

chardike-ad

১৯৭৮ সালের ১০ আগস্ট সৌদি আরবে মার্কিন দূতাবাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো একটি টেলিগ্রাম প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, তার আগের দিন ৯ আগস্ট তায়েফ শহরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন সি ওয়েস্ট ও তখনকার সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স সৌদ আল ফয়সালের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে অংশ নেওয়া এক মার্কিন কর্মকর্তাই ওই টেলিগ্রাম লেখেন। তিনি লেখেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের পক্ষ থেকে মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ান সাদাত ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী মেনাচিম বিগেনকে ক্যাম্প ডেভিডে বৈঠকের আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে প্রিন্স সৌদ আল ফয়সাল পুর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন। এছাড়া সৌদি প্রিন্স বিষয়টিকে সমর্থন জানিয়ে সরকারি বিবৃতি প্রকাশের জন্য নিজ দেশের জেনারেল অ্যাডভাইজরি কমিটির কাছে সুপারিশ করবেন বলেও জানান।

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে বলেছিলেন, মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ান সাদাত যুক্তরাজ্যের লিডস ক্যাসেলে সমঝোতা বৈঠকে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর যুবরাজ ফাহাদ মিসর সফর করেন। লিডস ক্যাসেলের বৈঠকটি একই বছরের ১৮ ও ১৯ জুলাই হওয়ার কথা ছিল। প্রকাশিত টেলিগ্রামে আরও বলা হয়েছে যে, প্রিন্স সৌদ ‍উল্লেখযোগ্য উদ্যমে নিয়ে বৈঠকে অংশ নেন। তিনি বলেন, আমরা চাই ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি সফল হবে। তাহলে তা এটা আমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি সফলতা হয়ে থাকবে।

উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালেই ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি প্রত্যাখান করেন তৎকালীন সিরীয় প্রেসিডেন্ট হাফিজ আল-আসাদ, ইরাকের প্রেসিডেন্ট আহমেদ হাসান আল-বাকের ও প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) নেতা ইয়াসির আরাফাত।