আগামী ১৪ তারিখের সর্বমোট ২৭ হাজার ৪’শত ৬১টি টিকেট দেওয়া হবে আজ। টিকেট কালোবাজারি ঠেকাতে ডিজিএফ আই, এন এস আই, রেলওয়ে পুলিশ, র্যাব ও আর্ম ব্যাটেলিয়ন কড়া নজর রাখছে বলেও জানান তিনি।
৬৫ শতাংশ টিকেট লাইনে এবং বাকি টিকেট বরাদ্দ করা হয়েছে রেলওয়ে কর্মচারি, সরকারি কর্মচারি ও ভিআইপিদের জন্য। স্পেশাল ট্রেনের পাশাপাশি ঢাকা থেকে ১৩২টি নিয়মিত ট্রেন প্রতিদিন যাতায়াত করবে বলে জানানো হয়।
কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, ঈদে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামাল দিতে ৯ জোড়া স্পেশাল ট্রেন সংযুক্ত করা হবে।
কমলাপুর রেল স্টেশনে গত ১ জুন থেকে শুরু হওয়া অগ্রিম টিকিট প্রত্যাশী মানুষের যে পরিমাণ ভিড় ছিল, এর চেয়ে আজ ৫ জুন টিকিট প্রত্যাশীদের উপস্থিতি ছিল অনেক বেশি। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮ টা বিক্রি শুরু হয়েছে আগামী ১৪ তারিখের টিকিট।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের লক্ষ্যে ঢাকা ছেড়ে যেতে ৫ম দিনের মত টিকিট সংগ্রহ করতে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছেন টিকিট প্রত্যাশীরা। টিকিট কাউন্টারের সামনে থেকে শুরু করে মানুষের এই লাইন গিয়ে ঠেকেছে প্রধান সড়কের কাছাকাছি।
টিকিট প্রত্যাশীরা গতকাল সন্ধ্যা থেকেই টিকিটের লাইনে দাঁড়াতে শুরু করেন। মানুষের এই টিকিটের লাইন মধ্যরাত বা সেহেরির পর আরও দীর্ঘ হয়। আর সকালে তো কমলাপুর রুপ নেয় জনসমুদ্রে। সব মিলিয়ে ১৪ তারিখের টিকিট পেতে কমলাপুরে বিপুল পরিমাণ মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। টিকিট কাউন্টারের সামনে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
আজ বিক্রি হচ্ছে আগামী ১৪ জুনের টিকিট। সকাল আটটা থেকে মোট ২৬ টি কাউন্টারে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত কাউন্টার আছে দুইটি। এছাড়া আগামীকাল ৬ জুন দেওয়া হবে ১৫ জুনের ট্রেনের অগ্রিম টিকিট।
টিকিট কাউন্টার থেকে জানানো হয়, একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ৪ টি টিকিট সংগ্রহ করতে পারছেন। ঈদ উপলক্ষে বিক্রিত টিকিট ফেরতযোগ্য নয়। সুবর্ণ এক্সপ্রেস ও সোনার বাংলা ট্রেনে কোনো আসন বিহীন টিকিট ইস্যু করা হবে না। অন্যান্য ট্রেনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র যাত্রীদের অনুরোধে যাত্রার দিন আসন বিহীন টিকিট ইস্যু করা হবে।