Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বেইলি রোডে আগুন : পরিবার নিয়ে ইতালি যাওয়া হলো না মোবারকের

মোবারকে দীর্ঘদিন ধরে ইতালিতে থাকতেন। এক মাস আগে দেশে এসেছিলেন পরিবারকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। সপ্তাহ খানেক পরেই ওনাদের ইতালি চলে যাওয়ার কথা। সেই উপলক্ষ্যে সপরিবারে এসেছিলেন রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া করতে।

mobarokরাজধানীর বেইলি রোডের সাততলা ভবনে আগুনের ঘটনায় ইতালি প্রবাসী সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসারসহ (৪২) একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, তাদের প্রত্যেকেরই সপ্তাহ খানেক পরই ইতালি চলে যাওয়ার কথা। তিনদিন আগেই পরিবারের প্রত্যেকের ভিসা মিলেছে। শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নিহতের স্বজন মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন।

তিনি বলেন, কাউসার দীর্ঘদিন ধরে ইতালিতে থাকতেন। এক মাস আগে দেশে এসেছিলেন পরিবারকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। সপ্তাহ খানেক পরেই ওনাদের ইতালি চলে যাওয়ার কথা। এর আগে সপরিবারে এসেছিলেন রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া করতে।

chardike-ad

নিহতের এই স্বজন বলেন, তিনদিন আগেই পরিবারের ভিসা মিলেছে। সেই উপলক্ষ্যে পরিবারের সবাইকে নিয়ে খেয়ে-দেয়ে একটু আনন্দ করতে এসেছিলেন।

শাহীন বলেন, রাত ৮টার দিকে সৈয়দ মোবারক তার স্ত্রী স্বপ্না (৩৮), মেয়ে সৈয়দা তাশফিয়া (১৭), সৈয়দা নূর (১৫) ছেলে সৈয়দ আব্দুল্লাহকে নিয়ে বাসা থেকে বের হন কাচ্চি ভাইতে খাওয়ার জন্য। তারা সেখানে পৌঁছানোর পর এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে তারা সবাই মারা যান।

জানা গেছে, প্রবাসী মোবারকের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামে। তিনি ঢাকার মগবাজার এলাকায় থাকতেন।

mobarok-family
এই ছবি এখন শুধুই স্মৃতি

এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। এতে অন্তত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গতকাল রাতে বেইলি রোডের যে ভবনে আগুন লেগেছে, সেটি সাততলা। ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের খাবারের দোকান রয়েছে। তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও রয়েছে খাবারের দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে খাবারের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় হয়। অনেকেই পরিবার নিয়ে সেখানে খেতে যান।

তিনতলায় ছিল কাপড়ের দোকান। বাকি সব ছিল রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্টগুলোতে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। যে কারণে আগুনের তীব্রতা ছড়িয়েছে ভয়াবহভাবে।