Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

‘মালয়েশিয়া থেকে কোনো রকম বেঁচে ফিরেছি’

malaysiaমালয়েশিয়া থেকে কোনো রকম বেঁচে ফিরেছেন তিন যুবক। শাহজাহান মণ্ডল, প্রসেনজিৎ, বিপ্লব মিস্ত্রি এই তিন জনকেই মালয়েশিয়ায় বিক্রি করে দেয়া হয়েছিল। অবশেষে বহু কষ্টে তারা দেশে ফিরতে পেরেছেন। তবে হুমকি তাদের পিছু ছাড়ছে না। দেশে ফিরতেই পাচার চক্রের অন্য সদস্যরা যুবকদের হুমকি দিচ্ছে।

তিনজনেরই অভিযোগ, গত জুন মাসে দালাল কবীর হোসেন মণ্ডল মোটা টাকার চাকরির লোভ দেখিয়ে তাদের মালয়েশিয়ায় পাচার করে। প্রত্যেকের কাছ থেকে অনেক টাকা নেয়। মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর পরই তিনজনের পাসপোর্ট ও ভোটার কার্ড কেড়ে নেয়া হয়।

chardike-ad

জানা গেছে, অফিসের বদলে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় একটি কারখানায়। সেখানেই একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। এরপর পাথর ভাঙার কাজ করতে বলা হয়। না করতে চাইলে বা কাজে ১-২ মিনিট দেরি হলেই চলত মারধর, অত্যাচার। বাঁচতে দেশি দালাল কবীরকে ফোন করলে খুনের হুমকি পেতেন বিপ্লব, শাহজাহানসহ পাচার হওয়া বাঙালিরা।

গত মাসেই দালাল কবীরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু তার সঙ্গীরা এখনও এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং এ তিনজনকে হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি খুনেরও হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ।

মালয়েশিয়া বন্দি বাঙালিদের উদ্ধারে অনেকদিন ধরেই তৎপর জিন্নার আলি। দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরে প্রায় ৩৫ বাঙালি বন্দির খোঁজ পেয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকেই উদ্ধার কাজে নেমে প্রায় ২৮ জন বাঙালিকে দেশে ফেরাতে পেরেছেন।

তিনি জানান, ৩৫ জন বাঙালিকে কবীরই পাচার করেছে। পশ্চিমবঙ্গের আরও বহু মানুষ মালয়েশিয়ার বিভিন্ন জায়গায় ক্রীতদাসে পরিণত হয়েছেন। যাদের পাচার করেছে এই কবীরই। গোটা পাচারচক্রের মাথা যদিও কবীর একা নয়। পেছনে রয়েছে বড় হাত।

জিন্নারের দাবি, ‘পুলিশ থেকে শুরু করে অভিবাসন দফতরের উচ্চপদস্থরা পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত। সেই কারণে কবীর গ্রেফতার হলেও তার সঙ্গীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মালয়েশিয়া থেকে ফিরে আসা বাঙালিদের পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে।’

সৌজন্যে- জাগো নিউজ