
ছবি: সংগৃহীত
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অবৈধ পতিতালয় ও অসামাজিক কার্যকলাপের আস্তানার বিরুদ্ধে বড় ধরনের সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। একযোগে পরিচালিত এ অভিযানে বাংলাদেশিসহ মোট ১৩৯ জন বিদেশিকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে ১১২ জন নারী এবং ২৭ জন পুরুষ।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিদেশি অধ্যুষিত এলাকা জালান পেতালিং, জালান ইম্বি এবং জালান পুডুতে অভিযানটি পরিচালিত হয়।
ইমিগ্রেশন বিভাগের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর বাসরি ওসমান জানান, মোট ২০৫ জনের কাগজপত্র যাচাইয়ের পর বিভিন্ন অপরাধে ১৩৯ জনকে আটক করা হয়।
আটকদের মধ্যে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, ভারত, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কার নাগরিক রয়েছে, যাদের বয়স ২০ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে। এছাড়া এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০ জন মালয়েশিয়ান পুরুষকে আটক করা হয়েছে। তারা এসব অবৈধ আস্তানার কেয়ারটেকার বা ‘ক্যাপ্টেন’ হিসেবে কাজ করত।
ইমিগ্রেশন বিভাগের তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য—অভিযান চালানো পতিতালয়গুলো ২৪ ঘণ্টা শিফটভিত্তিকভাবে পরিচালিত হতো। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা এবং সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত অবৈধ কার্যক্রম চলত। গ্রাহকদের জন্য কোনো অগ্রিম বুকিংয়ের প্রয়োজন ছিল না, এবং সর্বনিম্ন ফি ধরা হয়েছিল মাত্র ৬০ রিঙ্গিত।
ধরা পড়ার ঝুঁকি এড়াতে নারীদের কাজের জায়গায় রাখা হতো না। তাদের জন্য আলাদা ভাড়া বাসার ব্যবস্থা ছিল। ভবনের ভেতরে দেয়াল তুলে তৈরি করা হয়েছিল ছোট ছোট গোপন কক্ষ, যাতে সহজে ধরা না পড়ে।
আটক বিদেশিদের পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন ডিপো, বেরানাং এবং সেমেনয়িহ ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করা হয়েছে।









































