
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শরীরে গুরুতর সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় তাকে উন্নত অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিফাঙ্গাল চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে—এমন তথ্য জানিয়েছে তার চিকিৎসায় দায়িত্বরত মেডিকেল বোর্ড।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সর্বশেষ বার্তায় বোর্ডের পক্ষে অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার জানান, গত কয়েক দিনের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি, কিডনির কার্যক্ষমতা হ্রাস, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়া সহ একাধিক জটিলতা ধরা পড়ে। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ফুসফুসসহ অন্যান্য অঙ্গকে বিশ্রাম দেওয়ার উদ্দেশ্যে তাকে ইলেকটিভ ভেন্টিলেটর সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কিডনি সম্পূর্ণভাবে কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় শুরু করা হয়েছে ডায়ালাইসিস।
মেডিকেল বোর্ড জানায়, দেশি–বিদেশি ১৭ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত টিম তার শারীরিক অবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্পর্কে অনুমাননির্ভর বা ভ্রান্ত তথ্য প্রচার না করার অনুরোধও জানানো হয় বার্তায়।
গত ২৩ নভেম্বর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হাসপাতালে গেলে সেদিনই তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৭ নভেম্বর তার অবস্থা সংকটজনক হলে তাকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তার সার্বিক চিকিৎসা পরিচালনা করে যাচ্ছে।






































