
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ তফসিল প্রকাশ করেন। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি।
তফসিল ঘোষণার পরপরই সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচারণা সামগ্রী অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে নাসির উদ্দিন কমিশন।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবকে চিঠি দিয়ে এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের অনুরোধ জানান।
চিঠিতে বলা হয়েছে- পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড, তোরণ, প্যান্ডেল, গেট ও আলোকসজ্জাসহ সব ধরনের প্রচার সামগ্রী এবং নির্বাচনী ক্যাম্প তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট সম্ভাব্য প্রার্থীকেই নিজ খরচে সরিয়ে ফেলতে হবে।
এ লক্ষ্যে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদসহ সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
ইসি আরও জানায়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার গণ–অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বদলে যায় দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপট। ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এ সরকারের বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে ঘোষিত হয়—২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। পরে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে একই দিনে গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
১৩ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেন—সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে।
নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই নির্বাচন, যা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রথম বড় জাতীয় রাজনৈতিক পরীক্ষা। অনভিজ্ঞ ইসি ও সরকারের তত্ত্বাবধানে একই দিনে দুইটি বড় নির্বাচনী কার্যক্রম হওয়ায় দেশের রাজনীতিতে তৈরি হয়েছে নতুন উত্তেজনা ও উত্সুক প্রতীক্ষা।






































