বৃহস্পতিবার । ডিসেম্বর ১১, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক জাতীয় ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:৩৫ অপরাহ্ন
শেয়ার

নির্বাচনের পর পদত্যাগ করতে চান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন


chuppu

ফাইল ছবি

আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নিজের পদ থেকে সরে যেতে চান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি ‘অপমানবোধ’ করছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বঙ্গভবন থেকে হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ৭৫ বছর বয়সী রাষ্ট্রপতি বলেন, “আমি বিদায় নিতে আগ্রহী। এখান থেকে চলে যেতে চাই।” তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে এখনই পদত্যাগ সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করতেই হবে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সাহাবুদ্দিন দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হলেও পদটি মূলত আনুষ্ঠানিক। কার্যনির্বাহী ক্ষমতা থাকে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার হাতে।

সাহাবুদ্দিন জানান, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রায় সাত মাস ধরে তার সঙ্গে দেখা করেননি। প্রেস বিভাগ তাঁর কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং গত সেপ্টেম্বরে সব বাংলাদেশি দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতির প্রতিকৃতি সরিয়ে ফেলা হয়েছে—যা তাকে গভীরভাবে অপমানিত করেছে। তার ভাষায়, এক রাতের মধ্যেই সব প্রতিকৃতি সরিয়ে ফেলা মানুষের কাছে ভুল বার্তা দেয় যে রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত হতে পারে।

শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল কি না—এ প্রশ্নের জবাব দিতে তিনি অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর থেকেই তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন।

২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর রাষ্ট্রপতির অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর তিনিই ছিলেন দেশের শেষ সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, ৭৫ বছর বয়সী সাহাবুদ্দিন ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।