রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে টার্গেট করে হামলার অভিযোগ করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ খান অভিযোগ করে বলেন, নিষিদ্ধ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত আওয়ামী লীগ কয়েকজন ব্যক্তিকে পরিকল্পিতভাবে টার্গেট করেছে, যার মধ্যে ওসমান হাদি অন্যতম। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, টার্গেট করা অন্য প্রার্থীদের ওপরও হামলার ঝুঁকি রয়েছে।
তিনি বলেন, “আজ ওসমান হাদি, আগামীকাল হয়তো আমার পালা, আপনার পালা। সরকার যদি আমাদের নিরাপত্তা দিতে না পারে, তাহলে আমরা কীভাবে জনসংযোগ করব?”
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে রাশেদ খান বলেন, দায়ীদের ধরতে ‘চিরুনি অভিযান’ চালাতে হবে। তাঁর অভিযোগ, আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িতরা গ্রেপ্তার না হয়ে বরং জামিন পাচ্ছে। এ সময় তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে ‘মাজাভাঙা’ উপদেষ্টা বলে কটাক্ষ করেন।
রাশেদ খান আরও বলেন, বর্তমান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কার্যকরভাবে কাজ করতে পারবে না। সরকার যদি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে চায়, তাহলে সবার আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে দায়িত্ব থেকে সরাতে হবে। জেলা-উপজেলা প্রশাসনে রদবদল হলেও উপদেষ্টা পরিষদে কেন পরিবর্তন আসেনি- সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, গণসংযোগ শেষে ফেরার পথে যেভাবে ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়েছে, তাতে নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক কোনো প্রার্থীই নিরাপদ নন।
এ পরিস্থিতিতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন গণ অধিকার পরিষদের এই নেতা। তিনি বলেন, বর্তমান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে সরকার কোনোভাবেই প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছে না।
