Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

e-passportবিশ্বের ১১৯তম দেশ হিসেবে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) যুগের যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ। জিটুজি ভিত্তিতে জার্মানির সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে দেশে ই-পাসপোর্ট চালুর কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।

যেসব সুবিধা মিলবে ই-পাসপোর্টে: ই-পাসপোর্টে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা ফিচার থাকবে। বর্তমানে এমআরপি তথ্যভান্ডারে যেসব তথ্য আছে, তা ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হবে। বর্তমানে বই আকারে যে পাসপোর্ট আছে, ই-পাসপোর্টেও একই ধরনের বই থাকবে। তবে বিদ্যমান পাসপোর্টের বইয়ে ব্যক্তির তথ্যসংবলিত যে দুটি পাতা আছে, ই-পাসপোর্টে তার স্থলে পলিমারের তৈরি বিশেষ একটি কার্ড থাকবে। এই কার্ডের মধ্যে স্থাপিত থাকবে একটি চিপ। সেই চিপে পাসপোর্টের বাহকের সব ধরনের তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। প্রচলিত এমআরপির পাতায় দেশের নানা ইতিহাস ও ঐতিহ্যের যে ছবি রয়েছে, তাতেও পরিবর্তন আসবে। এসব ছবির স্থলে নতুন করে অন্যান্য ঐতিহাসিক, প্রাকৃতিক দৃশ্য ও নানা সফলতার দৃশ্য তুলে ধরা হতে পারে।

chardike-ad

নিয়ম অনুযায়ী ই-পাসপোর্টের সব তথ্য কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষিত থাকবে ‘পাবলিক কি ডাইরেক্টরি’ বা পিকেডিতে। ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইসিএও) আন্তর্জাতিক এই তথ্যভান্ডার পরিচালনা করে থাকে। আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলসহ বিশ্বের সব বিমান ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এই তথ্যভান্ডারে ঢুকে তথ্য যাচাই করতে পারে।

নিরাপত্তা চিহ্ন হিসেবে এতে থাকবে চোখের মণির ছবি ও আঙুলের ছাপ। এর পাতায় থাকা চিপে সংরক্ষিত থাকবে পাসপোর্টধারীর সব তথ্য। ২০১৬ সালে এমআরপির পাশাপাশি ই–পাসপোর্ট চালুর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। একই সময় পাসপোর্টের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে দিন থেকে ই–পাসপোর্ট চালু হবে সেদিন থেকে এমআরপি পাসপোর্ট রিনিউ করতে গেলে ই–পাসপোর্ট করতে হবে।

অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানায়, ই-পাসপোর্ট চালুর সঙ্গে সঙ্গে দেশের প্রতিটি বিমান, নৌ ও স্থলবন্দরে প্রয়োজনীয় ই-গেট স্থাপন করে স্বয়ংক্রিয় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা চালু করা হবে। ই-পাসপোর্ট বহনকারী ব্যক্তি এই গেট দিয়ে সীমান্ত পার হবেন। বর্তমানে বিশ্বের ১১৯টি দেশে ই-পাসপোর্ট ও ই-গেট ব্যবস্থাপনা চালু রয়েছে, যা এমআরপি থেকে বেশি নিরাপদ। ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পেরিয়ে যাওয়া ই–পাসপোর্টধারী ব্যক্তি লাইনে না দাঁড়িয়েই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইমিগ্রেশন শেষ করতে পারবেন।