Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সন্তানের দায়িত্ব পেতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন যুবকের আইনি লড়াই

india-suprime-courteসন্তানের দায়িত্ব পেতে আদালতে আইনি লড়াই করছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন যুবক। এ লড়াই চালাতে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ছুটে এসেছেন ভারতের গুজরাটে। ২০১০ সালের জুলাইয়ে দক্ষিণ গুজরাটের ভালসাদে স্থানীয় এক যুবতীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন ওই বাংলাদেশি।

স্ত্রীকে নিয়ে চলে যান যুক্তরাষ্টের ডালাসে। সেখানে জন্ম হয় তাদের একটি ছেলে সন্তানের। এখন ওই সন্তানের বয়স চার বছর। এরই মধ্যে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে। ডালাসের আদালত ওই সন্তানকে তার পিতার হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

chardike-ad

এ অবস্থায় ওই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ওই যুবকের স্ত্রী সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে প্রতারণার আশ্রয় নেন। তিনি প্রথমে আদালতের কাছে অনুমতি চান তিন মাসের জন্য সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া থাকতে। আদালত তা অনুমোদন করে। কিন্তু তিনি অস্ট্রেলিয়া গিয়ে ভিন্ন কৌশল ব্যবহার করেন।

সেখান থেকে ভারতে ‘ওভারসিজ সিটিজেনশিপ অব ইন্ডিয়ার জন্য আবেদন করেন। চলে আসেন গুজরাটে। গুজরাটে এসেই ওই যুবতী উল্টো মামলা করে দেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তার সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে। ওদিকে ব্যাঙ্গালুরুর একজন আইনজীবিকে পাওয়ার অব এটর্নি দিয়ে ওই যুবক একটি হেবিয়াস করপাস পিটিশন দাখিল করেন।

তাতে নিজের সন্তানের কাস্টডি দাবি করেন তিনি। অর্থাৎ ছেলেকে ফিরে পেতে চান। কিন্তু এ আবেদন গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায় হাইকোর্ট। আদালত থেকে বলা হয়, আবেদনকারীর অনুপস্থিতিতে এ পিটিশনের শুনানি করা যথার্থ হবে না। শিশুটির কাস্টডি নিশ্চিত করতে হলে আবেদনকারীর উপস্থিতি প্রয়োজন। তাই ৩০ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশি নাগরিক সন্তানের কাস্টডি বা দায়িত্ব পেতে আইনি লড়াই চালাতে ডালাস থেকে ছুটে এসেছেন ভারতে।

ওদিকে গুজরাট হাইকোর্টে তার স্বামী দাবি করেছেন, তার সাবেক ওই স্ত্রী অস্ট্রেলিয়া থেকে নিজে ও তার শিশু সন্তানের জন্য ‘ওভারসিজ সিটিজেনশিপ অব ইন্ডিয়া’র (ওসিআই) জন্য আবেদন করেন। বাংলাদেশি ওই যুবক আরো দাবি করেন, সন্তানকে নিজের সঙ্গে রাখার অনুমতি সম্বলিত যে কাগজ তার সাবেক স্ত্রী প্রস্তুত করেছেন, তাতে তার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে।

আবেদনে তিনি আরো বলেন, তিনি একজন বাংলাদেশি। পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তাই যে সন্তানের পিতামাতার একজন ভারতীয় এবং একজন বিদেশি এবং তারা বিচ্ছেদপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন, ওই সন্তানের ওআইসি স্ট্যাটাস আইন অনুমোদন করে না।

ইতোমধ্যে ডালাসের আদালত সন্তানকে নিজের কাছে রাখার জন্য ভারতীয় ওই নারীর আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। জানুয়ারিতে তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে সন্তানকে তার পিতার কাছে রাখার অনুমতি দেয় আদালত এবং তাদের বিচ্ছেদ অনুমোদন করে।