Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

এক প্রান্তে ঠান্ডায় মরছে মানুষ, আরেক প্রান্তে দাবদাহে পুড়ছে বন

coold-hotসদ্য শেষ হওয়া জানুয়ারি মাসে বিশ্বের দুই মেরুতে থাকা দুটি দেশের আবহাওয়ায় সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র দেখা গেছে। উত্তর মেরুর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে তাপমাত্রার পারদ শূন্য থেকে ৪০ ডিগ্রিরও বেশি নিচে নেমেছে। আর দক্ষিণ মেরুর দেশ অস্ট্রেলিয়াতে পারদ চড়েছে ৪০ ডিগ্রিরও ওপরে।

গত বুধবার থেকে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপশ্চিমাঞ্চল। কয়েকটি রাজ্যে অন্তত আট জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার মিনেসোটার কটন শহর ছিল যুক্তরাষ্ট্রের শীতলতম এলাকা। এই দিন শহরটির তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৪৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।

chardike-ad

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম শহর শিকাগোতে তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস , যা ১৯৮৫ সালের তাপমাত্রার রেকর্ডকে ভঙ্গ করেছে। রকফোর্ড, ইলিনয়স ও শিকাগোর পশ্চিমে তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস , যা সর্বনিম্ম তাপমাত্রার রেকর্ড। মিডওয়েস্ট ও গ্রেট লেকসে ঠান্ডা বাতাসের ঝাপটার কারণে তাপমাত্রা মাইনাস ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি এবং মাইনাস ৫৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস অনুভূত হয়েছে। মাত্র পাঁচ মিনিটে যে কেউ জমে বরফ হয়ে যাওয়ার জন্য এই তাপমাত্রা যথেষ্ঠ। আগামী সোমবার পর্যন্ত তাপমাত্রা এমন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।

এদিকে,অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, জানুয়ারি মাস ছিল দেশটির সবচেয়ে উষ্ণতম মাস। ১৯১০ সালের পর দেশটির তাপমাত্রার রেকর্ড প্রথমবারের মতো ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। গত মাসে বিস্তৃত দাবদাহ ও দৈনন্দিন চরমভাবাপন্ন আবাহওয়া ছিল ‘অভূতপূর্ব’। গত ২৪ জানুয়ারি দক্ষিণের শহর অ্যাডিলেডে তাপমাত্রা ছিল ৪৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ।

আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তা অ্যানি্‌ড্রউ ওয়াটকিনস জানিয়েছেন,নিউ সাউথ ওয়েলসের বরোনাতে এক রাতের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পোর্ট অগাস্টাতে-৪৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ওয়াটকিনস বলেন, ‘আমরা অনেক রাজ্যে রেকর্ড তাপমাত্রা দেখেছি, যাদের মধ্যে রয়েছে ভিক্টোরিয়ার সন হিল ও কেরাং। এখানে তাপমাত্রা ছিল ৪৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’

সূত্র: সিএনএন ও দ্য গার্ডিয়ান