Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ক্রাইস্টচার্চে সব মসজিদ বন্ধ রাখার নির্দেশ

newzealand-mosjidনিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দু’টি মসজিদে হামলার ঘটনায় ৪০ জন নিহত হওয়ার পর সেখানকার সব মসজিদ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সব মসজিদ বন্ধ থাকবে। স্থানীয় সময় শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় মুসল্লিদের ওপর এই হামলা চালানো হয়।

ভয়াবহ ওই হামলায় ২০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। ওই হামলাকে নজিরবিহীন ভয়াবহ হামলা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নিউ প্লাইমাউথে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী জেসিনডা আর্ডার্ন ক্রাইস্টচার্চে হামলার ঘটনাকে নিউজিল্যান্ডের জন্য একটি অন্ধকার দিন উল্লেখ করে এই হামলাকে চরম এবং নজিরবিহীন সহিংসতা বলেছেন।

chardike-ad

ক্রাইস্টচার্চের পাপানুই হাই স্কুলেও সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ওই স্কুলটিকে নিরাপত্তার জন্য ঘিরে রাখা হয়েছে। দুই মসজিদে হামলার ঘটনায় এক নারী এবং তিন পুরুষকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।

এই হামলার সঙ্গে মোট কতজন জড়িত ছিল তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে হামলাকারীদের মধ্যে একজন অস্ট্রেলীয় নাগরিক বলে উল্লেখ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। তিনি ওই হামলাকারীকে ‘চরম ডানপন্থি সহিংস সন্ত্রাসী’ বলে উল্লেখ করেছেন।

নিউজিল্যান্ডের হেরাল্ড নিউজেও এক হামলাকারীকে অস্ট্রেলীয় নাগরিক বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ইসলামপন্থি জঙ্গি এবং অভিবাসীদের ওপর ক্ষোভ থেকেই ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলা চালানো হয়েছে।

নিজেকে ব্রেনটন ট্যারেন্ট বলে পরিচয় দেয়া ওই হামলাকারী হামলার পেছনে নিজের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানিয়ে একটি ম্যানিফেস্টোতে এ তথ্য প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি ওই হামলা সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন।

নিজেকে তিনি ডানপন্থী নীতির পক্ষে এবং অভিবাসী নীতি বিরোধী বলে উল্লেখ করেছেন। হামলা চালানোর সময় সামাজিক মাধ্যমে লাইভে ছিলেন ওই হামলাকারী। ১৭ মিনিট ধরে ওই হামলার লাইভ ভিডিও প্রচারিত হয়। ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান-বংশোদ্ভূত ওই হামলাকারী নিজেকে সাধারণ শ্বেতাঙ্গ নাগরিক বলে উল্লেখ করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, ইউরোপের মাটিতে সরাসরি অভিবাসীদের সংখ্যা কমাতেই তিনি এই হামলা চালিয়েছেন। এই ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়ে তিনি অভিবাসী ও ইসলামপন্থি জঙ্গিদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।