Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

যুক্তরাষ্ট্রের জেলে বন্দীদের জুম্মার নামাজের ব্যবস্থা

usa-jailযুক্তরষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে সে সে পালন করবে। এমনকি যারা জেলে রয়েছে তারাও ধর্ম পালনে স্বাধীন। যুক্তরাস্ট্রের জেলগুলোতে ধর্ম পালনের নানা সুবিধা রাখা হয়েছে বন্দী বা কয়েদীদের জন্যে। আর্লিংটনের একটি ডিটেনশন সেন্টারে ইসলামিক সার্কেল অফ নর্থ আমেরিকা (ICNA) মুসলিম কয়েদীদের সকল ধর্মীয় আচার পালনে সহায়তা করে যাচ্ছে।

সাইদ একজন কয়েদী- এখানে প্রতি শুক্রবার জুম্মার নামাজ অনেকেই তার সাথে অংশ নেন। সাইদ বলেন, “এখানে আমরা অনেক কিছু করি। শুক্রবারের জুম্মার নামাজে অনেকেই অংশ নেন। এতে সারা সপ্তাহ ভালো যায়”।

chardike-ad

এখানে ৩৩ জনের মধ্যে সাইদ একজন। জেল কর্মকর্তারা বলেন এখানকার কয়েদীদের বেশীরভাগই ছোট খাটো অপরাধের কারণে বন্দী। একজন নারী কয়েদী বলেন, “এই সুবিধার কারণে আমি আমার বিশ্বাসের প্রতি অবিচল থাকছি। আমার মন ভালো থাকছে”।

ডিটেনশন সেন্টারের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ক্রিস্টেন কেন বলেন, এখানে নামাজ ও নানা ধর্মীয় আচার পালনের জন্যে মুসলিম স্কলার দরকার মনে করেই স্থানীয় ইসলামিক সেন্টারে যোগাযোগ করেন।

কেন বলেন, “আমি বাইতুল মোকারম মসজিদে যাই। সেখানে মিস্টার আহমেদের সাথে কথা হয়। তখন থেকেই তিনি স্বেচ্ছাসেবীর মতো কাজ করছেন। এখানে আসছেন এবং ধর্মীয় নানা আচারে সহায়তা করছেন”।

তারপর থেকে ইসলামিক সার্কেল অফ নর্থ আমেরিকা ২০১৭ সাল থেকে মুসলিম প্রিজোনার্স সাপোর্ট প্রোজেক্ট নামে একটি প্রকল্প শুরু করে। এরপর ১২টি কারেকশনাল কেন্দ্রে স্বেচ্ছাসেবীরা শুক্রবারের জুম্মার নামাজ পড়াচ্ছেন। ইসলামি শিক্ষা দিচ্ছেন কয়েদী বা বন্দীদেরকে।

ইসলামিক সার্কেল অফ নর্থ আমেরিকার প্রতিনিধি সাফাত আহমেদ বলেন, “ইসলামি শিক্ষা, নামাজ পড়াসহ বিভিন্ন ইসলামী কায়দা কানুন সম্পর্কে জেলে থাকা মুসলিমদেরকে শিক্ষা দেয়া নানা সহায়তা করার চেষ্টা করছে এই মুসলিম প্রিজোনার্স সাপোর্ট প্রোজেক্ট”।

আর্লিংটন কাউন্টির এই ডিটেনশন সেন্টারের এক বন্দী শন ডায়সন গত বছর মুসলমান হয়েছেন। তিনি বলেন এই সেবার কারণে তিনি কৃতজ্ঞ, “একজন নতুন মুসলিম হিসেবে এই বিষয়টি আমার জন্যে খুবই সহায়ক। শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়তে পারছি, ইসলামিক নানা বিষয়ে জ্ঞান লাভ করছি”।

স্বেচ্ছাসেবীরা বলেন, তারা এই প্রকল্পে কাজ করার সুযোগ পেয়ে ধণ্য ও গর্বিত। রাকিবুল মজুমদার একজন স্বেচ্ছাসেবী। তিনি বলেন, “আমি আগে অন্যভাবে খুতবা বলতাম। আমি এখন নানা বিষযকে সম্পৃক্ত করে খুতবা দেই। এতে নানা উপকার হয়”।

গত বছর ১০০ বন্দী রমজান পালন করেন। স্বেচ্ছাসেবী এবং এই প্রকল্পের ব্যবস্থাপকরা আশা করছেন এই প্রকল্পটি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র চালু হবে।