Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

যেভাবে রোজা রাখছেন মেরু অঞ্চলের মুসলমানরা

musolmanগ্রীষ্মকালে কানাডার মেরু অঞ্চলে ২০ ঘণ্টার চেয়েও বড় হয় দিন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকের কাছে এটি শীতের দীর্ঘ অন্ধকারের চেয়ে ভালো। কিন্তু দেশটির নুনাভুট অঞ্চলের ইকালুইট শহরের ক্রমবর্ধমান মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য এ রমজানে সেটি একটি সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। রমজানে মুসলমানরা সূর্যোদয়ের আগ থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোনো খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ না করে সিয়াম পালন করেন। কিন্তু ২০ ঘণ্টার বেশি দিন হওয়ায় এত দীর্ঘ সময় সিয়াম পালন করা খুবই কষ্টসাধ্য।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল করিম জানান, তিনি ২০১১ সালে অটোয়া থেকে এখানে আসার পর মেরু অঞ্চলের সূর্যের হিসেবেই সিয়াম পালন করেন। অর্থাৎ এখন তাকে রাত দেড়টার আগে সেহরি খেতে হয় এবং পরদিন সন্ধ্যা ১১টায় (পিএম) ইফতার করতে হয়, যা প্রায় ২১ ঘণ্টা। নিজের সুস্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ করে আবদুল করিম বলেন, ‘শুধু স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিলেই রোজা বন্ধ করব। তবে আমি মনে করি না সিয়াম আমার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করবে।’

chardike-ad

সারা বিশ্বের মুসলমানরা যখন পবিত্র রমজানে ধর্মীয় ও সামজিক কর্মকাণ্ডের ওপর অধিক গুরুত্ব প্রদান করে, মেরু অঞ্চলের লোকদের তখন দীর্ঘ সময়ের রোজা পালন নিয়ে তটস্থ থাকতে হয়। তবে ইকালুইট ও পাশের অনেক শহরের মুসলমানদের অনেকে ১৩০০ মাইল দূরের অটোয়া শহরের সময়সূচি অনুযায়ী রোজা পালন করছেন। যদিও মুসলিম বিশেষজ্ঞরা তাদেরকে মক্কা কিংবা কাছের মুসলিম শহরের সাথে মিলিয়ে রোজা পালনের পরামর্শ দিয়েছেন।
অটোয়ার সাথে মিলিয়ে সিয়াম পালন করলে ১৮ ঘণ্টা রোজা রাখতে হয়। এটি অনেকটা সহনশীল বলে মন্তব্য করেন আতিফ জিলানি নামে এক বাসিন্দা।

উত্তর মেরুর আরেক শহর ইয়োলোনাইফে বসবাস করে তিন শতাধিক মুসলমান। শহরের ইসলামিক সেন্টারের প্রেসিডেন্ট নাজিম আওয়ান বলেন, ‘কেউ কেউ আছেন যারা ২৩ ঘণ্টা রোজা রাখতে চান। কিন্তু অন্যদের জন্য কাছের শহর কিংবা মক্কা বা মদিনার সময় অনুসরণ করার সুযোগ রয়েছে।’