মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার চারদিনের সফরে জাপান এসে পৌঁছেছেন। স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটার কিছু আগে তাকে বহনকারী এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমান জাপানের মাটি স্পর্শ করে।
জাপান ও মার্কিন কর্মকর্তারা ট্রাম্প ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের সম্পর্ককে নজিরবিহীন উল্লেখ করে এর প্রশংসা করেন। উভয় নেতা এ সফরকালে তাদের সুসম্পর্ককে আরো মজবুত করার সুযোগ পাবেন বলেও তারা মন্তব্য করেন।
এদিকে ট্রাম্পের এবারের সফরকে অনেকটাই বিনোদনমূলক বলে বর্ণনা করা হয়েছে। কিছুটা আনন্দে সময় কাটাতে তিনি জাপান এসেছেন। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনার কারণে ট্রাম্প সফরকালে রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক নানা বিষয়কে এড়িয়ে যাবেন।
ট্রাম্প রোববার শিনজো অ্যাবেসহ জাপানী মল্লযুদ্ধ সুমো দেখতে যাবেন এবং তিনি বিজয়ীর হাতে কাপ তুলে দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সুমো দেখতে যাওয়ার আগে উভয়নেতা গলফ খেলবেন এবং সস্ত্রীক রেস্টেুরেন্টে খেতে যাবেন। সোমবার উভয়ে শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেবেন।
সোমবার সন্ধ্যায় ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া জাপান সম্রাট নারুহিতো ও সম্রাজ্ঞী মাসাকোর দেয়া নৈশভোজে যোগ দেবেন। সম্রাট নারুহিতো ১ মে সিংহাসনে বসেন। তার সিংহাসনে আরোহনের পর ট্রাস্প হবেন তার সঙ্গে প্রথম সাক্ষাত করা বিদেশী নেতা।
অ্যাবে কেবলমাত্র কিছুদিন আগেই ওয়াশিংটন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন। আর ট্রাম্প এক মাসের মধ্যে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে জাপানের ওসাকায় ফিরবেন।
এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প প্রসাশনের সিনিয়র এক কর্মকর্তা বলেন, উভয়পক্ষে এই তিনটি সফর খুব কম সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর এটি তাদের সম্পর্ক যে কতোটা নিবিড় তাই প্রমাণ করে।
জাপানী কূটনীতিক বলছেন, উভয়পক্ষের এ ঘন ঘন সফর দুদেশের নেতৃবৃন্দের মধ্যকার নজিরবিহীন ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককেই প্রকাশ করছে।