মধ্যপ্রাচ্যে এখন একমাত্র সৌদি আরবেই বাংলাদেশী শ্রমিকদের জন্য দরজা খোলা রয়েছে। তবে সেখানকার পরিবর্তিত রাষ্ট্রীয় নীতি এবং কর্মক্ষেত্রে অটোমেশনের (স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতির ব্যবহার) কারণে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এই শ্রমবাজারের দ্বারও সঙ্কুচিত। বর্তমানে ক্লিনার ও গৃহকর্মীর ভিসা ছাড়া অন্য পেশায় সৌদি আরবে কাজের সুযোগ নেই বললেই চলে। ফ্রি ভিসার নামে দালালদের খপ্পরে
আশা নিরাশায় দুলছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। কেউ বলছেন দেশটির শ্রমবাজার নেপালের দখলে। আবার কেউবা বলছেন পাকিস্তানের। আসলেই কোনদিকে দেশটির শ্রমবাজার মোড় নিচ্ছে সেটি কেউই বলতে পারছেন না। তবে অনেকেই চলতি মাসের ২৪ ফেব্রুয়ারি উভয় দেশের কারিগরি কমিটির বৈঠকের দিকে নজর দিচ্ছেন। এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি মালয়েশিয়া সফর করে নতুন করে তাদের
সাময়িক বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশিদের জন্য আবারও উন্মুক্ত হয়েছে কাতারের শ্রমবাজার। এতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন দেশটিতে অবস্থানকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরা। একই সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান করায় দুই দেশের সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রবাসীদের কাতারের আইন মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন কমিউনিটির নেতারা। গত বছর জুলাইয়ে বাংলাদেশি প্রবাসীদের হাতে
জটিলতা কাটিয়ে নতুনভাবে উন্মোচিত হচ্ছে কাতারের শ্রমবাজার। নানা অনিয়মের কারণে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয়ার ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করে দেশটির সরকার। ফলে সংকোচিত হয় বাংলাদেশের শ্রমবাজার। পরবর্তীতে দু’দেশের মধ্যে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে বাংলাদেশি শ্রমিক নেয়া শুরু করতে যাচ্ছে কাতার। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ এই তথ্য নিশ্চিত
alaysiaমালয়েশিয়ার বন্ধ শ্রমবাজার দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে স্থগিত হয়ে রয়েছে। নেপালের সাথে চুক্তি করলেও তারা বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়ার ব্যাপারে এখনো আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এ অবস্থায় মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীরা শ্রমিক সঙ্কটে অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। ইতোমধ্যে অনেক কোম্পানি শ্রমিক সঙ্কটের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকগুলো বন্ধের পথে। তারা দ্রুত
বাংলাদেশিদের জন্য কাজের সুযোগ কমেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। কিছু বাংলাদেশিকর্মীর অপকর্মে চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয়া কমিয়েছে পূর্ব এশিয়ার দেশটি। পররাষ্ট্র এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশটিতে কাজ করতে গেছেন এমন কিছুসংখ্যক বাংলাদেশি সেখানে ভুয়া নথি জমা দিয়েছেন। অনেকে দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে জাল সার্টিফিকেট দেখিয়েছেন। এসব
কিছুতেই সিন্ডিকেটমুক্ত হচ্ছে না মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। আর এই সিন্ডিকেটের দুর্নীতির কারণে মাহাথির মোহাম্মদের নতুন সরকার গত বছর মালয়েশিয়ান তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘সিনারফ্লাক্স’ এর এসপিপিএ সিস্টেমকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। যেন বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জোর প্রচেষ্টায় বন্ধ থাকা
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের শ্রমবাজার সম্প্রসারণ করতে দেশটির মানবসম্পদ ও এমিরেটাইজেশন মন্ত্রী নাসের বিন থানি জুমা আল হামলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। স্থানীয় সময় বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ১টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে আবুধাবি ডায়লগের একপর্যায়ে বৈঠক করেন তারা। প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে এসব তথ্য জানানো
মালয়েশিয়া শ্রমবাজার চালুর বিষয়ে চূড়ান্ত বৈঠকের জন্য প্রস্তুত প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে মালয়েশিয়া যেতে মন্ত্রী ইমরান আহমদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলের জিও (সরকারি আদেশ) অনুমোদন করে রাখা হয়েছে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর এটি অনুমোদন করা হয়। মন্ত্রণালয় এবং হাইকমিশন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে
মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার নিয়ে আবারও শুরু হয়েছে মারিং কাটিং। দু’দেশের সরকারের সিদ্ধান্তকে পাস কাটিয়ে একটি চক্র মরিয়া হয়ে উঠেছে বাজারটি তাদের দখলে নিতে। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার স্থগিতের প্রায় এক বছর অতিবাহিত হতে চলেছে। এখনও মালয়েশিয়া সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশি শ্রমিক নেয়ার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না আসলেও বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্টরা বলছেন