Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

পঞ্চম শ্রেণি পাস ৩ নারী বিশেষায়িত চিকিৎসক!

crimeপড়াশোনা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। এই শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েই বিশেষায়িত চিকিৎসা। অবাক করার মতো বিষয় হলেও এটাই সত্য। কেবল বিশেষায়িত চিকিৎসাই নয়, লোভনীয় চাকরির প্রলোভন দেখিয়েও লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার এ ঘটনা মাদারীপুরের রাজৈরের। এ অভিযোগে তিন নারীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। আজ মঙ্গলবার দুপুরে মাদারীপুর র‌্যাব ক্যাম্পের কম্পানি অধিনায়ক মেজর মো. রাকিবুজ্জামান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রাজৈর উপজেলার পূর্ব মহেন্দ্রদী গ্রামের তারা মিয়া ফকিরের মেয়ে লাকী আক্তার উর্মি, তার ছোট বোন আবজানুর আক্তার আফসানা এবং একই উপজেলার ঘোষালকান্দী গ্রামের ইমারত হাওলাদারের স্ত্রী আসমা বেগম। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজৈর উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

chardike-ad

র‌্যাব-৮ সূত্রে জানা গেছে, রাজৈর উপজেলার পূর্ব মহেন্দ্রদী গ্রামের তারা মিয়া ফকিরের পঞ্চম শ্রেণি পাস করা মেয়ে লাকী আক্তার উর্মি নিজেকে বিশেষায়িত চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট ব্রিজের উত্তর পাড়ে চেম্বার খুলে বসেন। ওই অফিসের ক্যাশিয়ার তারই ছোট বোন আবজানুর আক্তার আফসানা আর চিকিৎসা সহকারী হলেন আসমা বেগম। দীর্ঘ তিন বছর ধরে তারা চিকিৎসার নামে এলাকার অসহায় দরিদ্র মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন।

হৃদরোগ, কিডনি, ফুসফুস, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, যকৃৎ, টিউমারসহ কঠিন ও জটিল রোগের চিকিৎসা করে আসছিলেন পঞ্চম শ্রেণি পাস স্বঘোষিত বিশেষায়িত চিকিৎসক লাকী আক্তার উর্মি। আগত রোগীদের বিশ্বাস অর্জনের জন্য রোগ নির্ণয় করতে ল্যাপটপ ও ডিভাইজার প্রদর্শন করতেন লাকী আক্তার। প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে রোগীদের কাছে ভুয়া ও নকল ওষুধ বিক্রি করে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই প্রতারক চক্র।

শুধু তাই নয়, চক্রটি এলাকার বহু বেকার তরুণ-তরুণী ও মধ্যবিত্ত ঘরের গৃহবধূকে লোভনীয় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ভয়ঙ্কর এই প্রতারক চক্রের জাল সারা দেশে বিস্তৃত। বিভিন্ন স্থানে রয়েছে তাদের আটটি শাখা ও প্রায় ১৫০০ সদস্য। ধারণা করা হচ্ছে, প্রতারক চক্রটি অসহায় মানুষের কাছ থেকে মাসে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল।

মাদারীপুর র‌্যাব-৮ এর কম্পানি অধিনায়ক মেজর মো. রাকিবুজ্জামান বলেন, “প্রতারক চক্রটি অত্যন্ত সক্রিয়। বিভিন্ন স্থানে তাদের আটটি শাখা ও ১৫০০ সদস্য রয়েছে। ”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিএসটিআই’র রিজিওনাল অফিসার জিয়াউল হক বলেন, “যেসব ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছে তাতে বিএসটিআই’র কোনো অনুমোদন নেই। তাছাড়া প্যাকেটের গায়ে কোনো কম্পানির নাম নেই। সুতরাং এটা অবৈধ ও স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সিভিল সার্জন ডা. দিলীপ কুমার দাস বলেন, “তারা চিকিৎসার নামে প্রতারণা করেছেন। এ ছাড়া প্রতারকরা যেসব ওষুধ ব্যবহার করেছেন তাতে রোগ নিরাময়ের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি। “