বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় লন্ডন স্কুল অব ইকনোমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সাইন্স (এলএসই) এর চেঞ্জমেকার প্রোগ্রামের গ্র্যান্ট পেলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উন্নয়ন অধ্যয়ন বিষয়ে এম এসসিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্র আরাফাত নোমান। তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসন ক্যাডারের ৩৫তম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা।
লন্ডন স্কুল অব ইকনোমিক্সের এলএসই চেঞ্জমেকার প্রোগ্রাম হলো এলএসই এবং এলএসই স্টুডেন্ট ইউনিয়নের যৌথ সমন্বয়ের একটি প্রোগ্রাম যা বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করে।
এই গবেষণার বিষয়বস্তু হতে হবে কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আরও শিক্ষার্থী উপযোগী করা যায় এবং সেই ইতিবাচক পরিবর্তনটি যেন টেকসই হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে গবেষণার বিষয়বস্তু আহ্বান করা হয়।
প্রায় ১০০টি আবেদনের বিপরীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০টি আবেদনকে গবেষণা গ্রান্ট (রিসার্চ গ্রান্ট) এর জন্য মনোনীত করে। এর মাঝে নোমানের প্রজেক্টটিও স্থান পেয়েছে। এই গবেষণা চলবে ৬ মাস ব্যাপী এবং গবেষণার খরচ বহন করবে এলএসই কর্তৃপক্ষ।
প্রতিটি গবেষণার জন্য একজন করে সুপারভাইজর নিয়োগ করবে বিশ্ববিদ্যালয়। সুপারভাইজর গবেষণার অগ্রগতি মূল্যায়ন করবেন। উল্লেখ্য, নোমান কাজ করবেন ‘ব্ল্যাক মাইনোরিটি এবং এথনিক’ শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় অভিজ্ঞতা নিয়ে।
এ বিষয়ে আরাফাত নোমান বলেন, আমি ‘ব্ল্যাক মাইনোরিটি এবং এথনিক’ শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ করতে চেয়েছিলাম, অধিকাংশ সাদা চামড়ার শিক্ষার্থীদের পরিবেশে পড়ালেখা ও গবেষণা করতে গিয়ে মনস্তাত্ত্বিকভাবে তারা কেমন অনুভব করেন বা তাদের কোনোরূপ মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব কাজ করে কিনা সেটা উপলদ্ধি করতে।
তিনি বলেন, আমি নিজেও যেহেতু এখানে একজন মাইনোরিটি হিসেবে আছি তাই এই গবেষণা আমার জন্যও একটা অনুপ্রেরণা, দেশে ফিরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী যারা আছে আমি তাদের শিক্ষা নিয়েও কাজ করতে চাই। এ গবেষণা বৃত্তি আমার গবেষণা কাজকে আরও গতিশীল করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।