Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে যাচ্ছে প্রবাসীর তথ্য

তথ্য হস্তান্তর শুরু হচ্ছে এরই মাঝে

    তথ্য হস্তান্তর শুরু হচ্ছে এরই মাঝে

মালয়েশিয়ায় থাকা প্রায় ১৫ লাখ প্রবাসীর তথ্য চলে যাচ্ছে বেসরকারি এক্সপার্ট সার্ভিসেস কুয়ালালামপুর (ইএসকেএল) নামের একটি আইটি প্রতিষ্ঠানের হাতে। ই-পাসপোর্ট সেবা নিতে আসা প্রবাসী বাংলাদেশিদের তথ্য সংগ্রহের পুরো প্রক্রিয়া সম্পাদনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটিকে।

chardike-ad

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সঙ্গে একটি চুক্তির মধ্য দিয়ে ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রমে যোগ দেয় এক্সপাট সার্ভিস। পাসপোর্টের নানামুখী সেবা দিতে মালয়েশিয়ার ১৩টি প্রদেশে কার্যক্রম শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এরইমধ্যে তারা সেবাগ্রহীতা বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, ছবিসহ সব ধরনের তথ্য নিজেদের সার্ভারে সংরক্ষণ করছে। এমনকি ফিঙ্গারপ্রিন্টের মতো ব্যক্তিগত এবং বায়োমেট্রিক তথ্যও সংগ্রহে রাখছে।

এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার নিশ্চয়তায় জোর দিয়েছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। তাঁদের মতে, “তথ্য যেন পাচার না হয়, সে ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে হবে। সরকার যদি ডাটা সুরক্ষা নিশ্চিত না করে, তবে পরবর্তী সময়ে জটিলতা তৈরি হবে।”

এদিকে দূতাবাসের পক্ষ থেকে এ-সংক্রান্ত  অফিস আদেশে  বলা হয়েছে, আবেদন ফরম পূরণ, নথি প্রস্তুতকরণ, সাক্ষাৎকার, বায়ো এনরোলমেন্ট, স্ক্যানিং এবং পাসপোর্ট ডেলিভারির জন্য অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাবদ নির্দিষ্ট সার্ভিস চার্জ দিতে হবে এই প্রতিষ্ঠানটিকে। এই ফি এর পরিমাণ সাধারণ শ্রমিক ও ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে ৩২ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত এবং অন্যদের ক্ষেত্রে তা ৬০ রিঙ্গিত। ই-পাসপোর্ট আবেদন দাখিলের জন্য আবেদনকারীকে এক্সপার্ট সার্ভিসেসের মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া বাধ্যতামূলক বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য, ১৮ এপ্রিল ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করে মালয়েশিয়া হাইকমিশন। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনার মো. শামীম আহসানের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী। রাজধানী কুয়ালালামপুরের সাউথ গেট কমার্শিয়াল সেন্টারে ‘এক্সপার্ট সার্ভিসেস’-এর অফিসে এ সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।