Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

putin৭৫৫ মার্কিন কূটনীতিককে রাশিয়া ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সম্প্রতি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়ে সায় দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এক সঙ্গে এতজন কূটনীতিককে বহিষ্কার করল মস্কো। খবর বিবিসির।

শুক্রবারই মার্কিন কূটনীতিকদের বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়। তবে সে সময় মোট কতজনকে বহিষ্কার করা হচ্ছে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। সোমবার পুতিনের তরফ থেকেই ওই সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়েছে।

chardike-ad

সেপ্টেম্বরের ১ তারিখের মধ্যেই মস্কো ছাড়তে হবে বহিষ্কার হওয়া ওই মার্কিন কূটনীতিকদের। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার প্রভাব খাটানোর চেষ্টার অভিযোগ ওঠার পর থেকেই টানাপড়েন শুরু হয় ওয়াশিংটন-মস্কো সম্পর্কে।

প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নির্দেশে মেরিল্যান্ড ও লং আইল্যান্ডে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দু’টি রুশ কূটনৈতিক ভবনের দখল নেয় মার্কিন প্রশাসন। এরই পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে দেশে মার্কিন কূটনীতিক কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় মস্কো।

শুক্রবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মার্কিন কূটনীতিকদের সংখ্যা কমিয়ে ৪৫৫ জন করার দাবি জানায়। ওয়াশিংটনে এখন ৪৫৫ জন রুশ কূটনীতিক কাজ করছেন।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পুতিন জানান, মার্কিন দূতাবাসগুলোতে হাজারের বেশি কর্মী রয়েছেন। ৭৫৫ জন মার্কিন কূটনীতিককে রাশিয়া ছাড়তে হবে। রুশ-মার্কিন সম্পর্কে পরিবর্তন হবে বলে আশাবাদী ছিলাম আমরা। কিন্তু এখন বুঝেছি পরিবর্তন হলেও তাতে অনেক সময় লাগবে।

নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জয়ী করতে মার্কিন নির্বাচনে মস্কোর হস্তক্ষেপের বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে ট্রাম্প তার পক্ষে নন। কিন্তু মার্কিন কংগ্রেসই এখন ওই রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্ত করছে। কংগ্রেসের বড় একটি অংশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেওয়ার পক্ষপাতী। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের দূরত্ব বাড়ছে।

কূটনীতিক বহিষ্কারের বিষয়ে মস্কোর এমন সিদ্ধান্তকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।