গত চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড রিয়াল মাদ্রিদকে লম্বা সময় আটকে রেখে জাত চিনিয়েছিল। জার্মানরা আবারও মাদ্রিদ ক্লাবকে পেয়ে প্রথমার্ধে দুই গোলে লিড নেয়। ফাইনালের মতো এবারও দলকে বাঁচান ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ব্রাজিলিয়ানের হ্যাটট্রিকে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে ডর্টমুন্ডকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে দিলো বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের আধঘণ্টা হতে ডনিয়েল মালেন বার্নাব্যুর দর্শকদের নিস্তব্ধ করে দেন। ৩০ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে রিয়াল। এই রেশ কাটতে না কাটতেই চার মিনিট পর আরেকটি গোল হজম করে স্বাগতিকরা।বিরতির পর পাল্টে যায় রিয়ালের পারফরম্যান্স। একঘণ্টার মাথায় অ্যান্তোনিও রুডিগারের হেডে গোল শোধ দেয় তারা। গোলপোস্টের কাছাকাছি থেকে নেওয়া শটে সমতা ফেরান ভিনিসিয়ুস।
কাউন্টার অ্যাটাক থেকে অপ্রতিরোধ্য স্ট্রাইকে ৮৩তম মিনিটে লুকাস ভাসকেস রিয়ালকে এগিয়ে দেন। তারপর চমৎকার ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় ৮৬ ও ৯৩ মিনিটে গোল করে দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন ভিনিসিয়ুস।
লিলের কাছে হারের পর তিন ম্যাচে দ্বিতীয় জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ডর্টমুন্ডকে ছুঁলো রিয়াল।
আগামী শনিবার বার্সেলোনার বিপক্ষে এল ক্লাসিকোর আগে ইতিবাচক পারফরম্যান্স করে মাঠ ছাড়লো রিয়াল। ম্যাচ শেষে কোচ কার্লো আনচেলত্তি বললেন, ‘সে (ভিনিসিয়ুস) দ্বিতীয়ার্ধে যা করলো, তা সচরাচর কোনও খেলোয়াড়কে করতে দেখা যায় না। সে শক্তি ও তীব্রতা নিয়ে খেলেছে, অসাধারণ চরিত্র।
প্যারিসে ব্যালন ডি’অর জয়ীর নাম ঘোষণা হতে আর একসপ্তাহও বাকি নেই। ইতালিয়ান কোচের বিশ্বাস, আগামী ২৮ অক্টোবর ভিনিসিয়ুসের হাতেই উঠবে এটি, ‘আমি মনে করি (ভিনিসিয়ুস) এটা জিতবে, আজ রাতে সে যা করেছে তার জন্য নয়। গত মৌসুমে যা করেছে সেটার জন্য। আজকে রাতের তিন গোল তাকে পরের ব্যালন ডি’অর জিততে সাহায্য করবে।’
ভিনিসিয়ুস বললেন, ‘আমরা জানি, ঘরের মাঠে আমাদের ভক্তদের নিয়ে যে কোনও কিছু হতে পারে। আমরা যখন ড্রেসিংরুমে (হাফটাইমে) গেলাম, তখন সবাই খুব চুপ ছিলাম। শুধু আমাদের কোচের কথা শুনেছি। তিনি একটা বিষয় বললেন, যদি আমরা প্রথম গোল করতে পারি, তাহলে ঘুরে দাঁড়াতে যাচ্ছি। আমরা সেটাই করলাম।’
দারুণ জয়ের ম্যাচে রিয়ালের অস্বস্তি হয়ে থাকলো ৮৫তম মিনিটে পেশির ইনজুরি নিয়ে রদ্রিগোর মাঠ ছাড়ার মুহূর্ত। আগামী শনিবার বার্সেলোনার বিপক্ষে তার খেলা অনিশ্চিত।