![]()
জেমস ক্যামেরনের ওপর ভরসা রাখলে ভুল হয় না- ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ সেটি আবার প্রমাণ করেছে। ধীরগতির শুরু, দীর্ঘ পরিধি ও কিছুটা অনুমেয় কাহিনি সত্ত্বেও প্যান্ডোরার নতুন এই অধ্যায় দৃশ্যত অসাধারণ, আবেগ ও অ্যাকশন–সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা উপহার দিয়েছে দর্শকদের।
ছবির তথ্য
পরিচালনা: জেমস ক্যামেরন
অভিনয়: স্যাম ওয়ার্দিংটন, জো সালদানা, স্টিফেন ল্যাং, ওনা চ্যাপলিন, কেট উইন্সলেট
সময়সীমা: ১৯৭ মিনিট
কোথায় দেখবেন: প্রেক্ষাগৃহে
রেটিং: ⭐⭐⭐⭐ (৪/৫)
কাহিনি সংক্ষেপ
দ্য ওয়ে অব ওয়াটারের ঘটনার পরপরই শুরু হয় ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ। জেক সালি (স্যাম ওয়ার্দিংটন) ও নিতিরি (জো সালদানা) বড় সন্তানের মৃত্যুশোক সামলাতে সামলাতে নতুন বিপদের মুখে পড়েন। অ্যাশ উপজাতির নেতা ভারাং (ওনা চ্যাপলিন) পুরোনো শত্রু কর্নেল কুয়ারিচের (স্টিফেন ল্যাং) সঙ্গে হাত মিলিয়ে আক্রমণ চালায়। পরিবার, জনগোষ্ঠী ও গ্রহ রক্ষার লড়াই -এই আবেগঘন সংঘর্ষই রয়েছে চলচ্চিত্রের মূলে।
প্রথমার্ধ ধীর, কাহিনি গড়ে ওঠে সময় নিয়ে, ফলে ধৈর্য প্রয়োজন। তবে গল্প এগোতেই তীব্র উত্তেজনা জমে ওঠে, আর চোখ ধাঁধানো ভিজ্যুয়াল দর্শকদের টেনে নেয় অন্য এক জগতে। কিছু অংশে ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ -এর উপস্থাপনাকে ওয়ে অব ওয়াটারের চেয়েও এগিয়ে রেখেছেন ক্যামেরন।
ছবিটির ট্রেলার দেখতে এখানে ক্লিক করুন…
https://www.youtube.com/watch?v=Ma1x7ikpid8
নতুন দুনিয়া, নতুন অভিজ্ঞতা
চলচ্চিত্রটি প্যান্ডোরার নতুন উপজাতি, প্রাণী, লোকেশন ও আরও বৃহৎ যুদ্ধের দৃশ্য তুলে ধরে। মানুষের বিরুদ্ধে নাভিদের বেঁচে থাকার সংগ্রাম আগের মতোই কেন্দ্রীয় থিম। জেক সালির সন্তানরা- লো’আক, টাক এবং দত্তক নেওয়া স্পাইডার- নিজ নিজ পরিচয় ও মূল্য খুঁজে পেতে যে লড়াইয়ে নামে, তা গল্পে আবেগের নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
অভিনয়ে স্যাম, জো, ওনা, ল্যাং ও কেট উইন্সলেট সবাই দুর্দান্ত। তাঁদের পারফরম্যান্স নীল চরিত্রগুলোকেও বাস্তব আবেগে ফুটিয়ে তুলেছে। ভিএফএক্স বিভাগ প্রত্যাশা ছাড়িয়েছে, প্যান্ডোরার জগত বারবার চমকে দেয়। বিশেষ করে শেষ ৩০ মিনিটের যুদ্ধদৃশ্য চলচ্চিত্রের সবচেয়ে শক্তিশালী অংশ।
যেখানে দুর্বলতা
অ্যাভাটার ফ্র্যাঞ্চাইজি ধীরে ধীরে অনুমেয় হয়ে উঠছে- এমন অভিযোগ বাড়ছে দর্শকদের মধ্যে। একই কাহিনির কাঠামো বারবার ব্যবহার করলে ফল উল্টো হতে পারে। প্রথমার্ধ দীর্ঘ, অপ্রয়োজনে গল্পের গতি কমিয়েছে। ১৫ মিনিট সংক্ষিপ্ত করা গেলে আরও গতিময় হতো।
সামগ্রিক মূল্যায়ন
২০২৫ সালের শেষটা জমকালো করে দেবে ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’। সময়সাপেক্ষ শুরু থাকলেও দর্শকদের শেষ পর্যন্ত তৃপ্ত করবে এই অ্যাকশন–ড্রামা। বড় পর্দায় না দেখলে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এটি অবশ্যই দেখার মতো একটি চলচ্চিত্র।
উল্লেখ্য, ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’–এর বিশ্ব প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়েছে এ বছরের ১ ডিসেম্বর হলিউডের ডলবি থিয়েটারে। ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাবে ১৯ ডিসেম্বর। এ ছাড়া আরও দুটি সিক্যুয়েল- ‘অ্যাভাটার ৪’ ও ‘অ্যাভাটার ৫’ -বিভিন্ন ধাপে নির্মাণাধীন রয়েছে এবং ২০২৯ ও ২০৩১ সালে মুক্তির পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সূত্র: ইন্টারনেট, ডিএনএ ইন্ডিয়া







































