
ফাইল ছবি
দীর্ঘ দেড় যুগের অপেক্ষার অবসান হলো ২৭তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের একটি অংশের জন্য। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশ অনুযায়ী প্রথম পর্যায়ে ৬৭৩ জন প্রার্থীকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করে। প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ২৭তম বিসিএস পরীক্ষা-২০০৫-এর মাধ্যমে নির্বাচিত এসব প্রার্থীকে জাতীয় বেতনস্কেল ২০১৫ অনুযায়ী (২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা বেতনক্রমে) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ক্যাডারের প্রবেশ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এই ব্যাচের কর্মকর্তারা ২০০৮ সালের নভেম্বরে যোগদান করেছিলেন।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, নিয়োগপ্রাপ্তদের বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অথবা সরকার নির্ধারিত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শেষে সংশ্লিষ্ট ক্যাডার অনুযায়ী পেশাগত ও বিশেষ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে হবে। তাদের দুই বছর শিক্ষানবিশকাল পালন করতে হবে, যা প্রয়োজনে সরকার সর্বোচ্চ আরও দুই বছর বাড়াতে পারবে।
শর্ত অনুযায়ী, শিক্ষানবিশকালে কেউ চাকরির জন্য অনুপযুক্ত বিবেচিত হলে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা যেতে পারবে। সব প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন, বিভাগীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং শিক্ষানবিশকাল সন্তোষজনকভাবে শেষ হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে স্থায়ী করা হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, নিয়োগপ্রাপ্তদের একজন জামানতদারসহ ৩০০ টাকা মূল্যের নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে একটি বন্ড সম্পাদন করতে হবে। শিক্ষানবিশকাল বা তা শেষ হওয়ার তিন বছরের মধ্যে কেউ চাকরি থেকে ইস্তফা দিলে, প্রশিক্ষণকালীন বেতন-ভাতা ও প্রশিক্ষণ বাবদ সরকারের ব্যয়িত অর্থ ফেরত দিতে হবে।
এ নিয়োগের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা রক্ষার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট ব্যাচের প্রথম নিয়োগ প্রজ্ঞাপন যে তারিখে জারি হয়েছিল, সেই তারিখ থেকেই ভূতাপেক্ষিকভাবে তাদের নিয়োগ কার্যকর হবে। তবে এর ফলে তারা কোনো বকেয়া আর্থিক সুবিধা পাবেন না।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি ২৭তম বিসিএস পরীক্ষায় নিয়োগবঞ্চিত ১ হাজার ১৩৭ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। এর আগে ২৭তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় ৩ হাজার ৫৬৭ জন উত্তীর্ণ হলেও ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সেই ফল বাতিল করে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা নেয়। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন আইনি লড়াইয়ের পর দেড় যুগ পরে এসে প্রথম ধাপে ৬৭৩ জনের নিয়োগ কার্যকর হলো।




































