Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

খুলনায় সিরিজ জিততে মরিয়া মুশফিকুর

1932271_866939483331016_81896084851180246_nঢাকায় প্রথম টেস্টে তিন উইকেটে জিতেও স্বস্তিতে থাকতে পারছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। আজ খুলনায় শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় টেস্ট। খুলনায় সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে চান মুশফিক-
জয় ও র‌্যাংকিংয়ে নয় নম্বরে ওঠার চ্যালেঞ্জ

মুশফিকুর : চ্যালেঞ্জ অবশ্যই আছে। আগেই বলেছিলাম, প্রত্যেকটা ম্যাচ জেতার জন্য খেলব। সেরাটা খেলেই যেন জিতি। প্রথম ম্যাচে আমাদের সবকিছু হয়তো ঠিক ছিল না। দ্বিতীয় ম্যাচে যেন আমরা সবকিছু ঠিক করি। যদি পাঁচ দিন খেলেও আমাদের জিততে হয়, তাতেও আমরা প্রস্তুত। যেভাবেই হোক আমরা জিততে চাই। দলের সবাই ফিট। সবাই পারফর্ম করার জন্য মুখিয়ে আছে। বোলিং-ফিল্ডি-ব্যাটিং তিন বিভাগেই ভালো করতে চাই যেটা আমরা প্রথম টেস্টে পারিনি। ভুলগুলো যেন শুধরে নিতে পারি। সেদিকেই ফোকাস। র‌্যাংকিংয়ের বিষয়টাও মাথায় আছে। তবে র‌্যাংকিং নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করলে আমরা অন্যদিকে চলে যাব। আমাদের মূল ফোকাস ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং। যেভাবে পরিশ্রম করছি সেটা যেন কাজে লাগাতে পারি। র‌্যাংকিং নিয়ে চিন্তা করব ম্যাচ জেতার পর।
উন্নতির জায়গাগুলো

chardike-ad

মুশফিক : যে কোনো টেস্ট ম্যাচেই একটা দুটা বাজে আউট হতেই পারে। যে কোনো বড় দলেই তা হয়ে থাকে। আমাদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, পাঁচ-ছয়জন ব্যাটসম্যান হয়তো দ্রুত আউট হয়ে যায়। আমরা এ নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি। কমপক্ষে ৫০ হয়ে গেলেও আরও ৫০ রান দলের জন্য যেন তোলা যায়। এটা আমাদের জন্য নতুন শিক্ষা। দলে আমাদের দুই ওপেনার আক্রমণাÍক ব্যাট করে। ফিল্ডিংয়ে ক্যাচ মিস খেলারই অংশ। ক্যাচ মিস হতেই পারে। লক্ষ্য রাখতে হবে তা যতটা কমানো যায়।
দুদলের স্পিনে পার্থক্য

মুশফিক : জিম্বাবুয়ে সহজ প্রতিপক্ষ নয়। শেষ ইনিংসে ১০০ রান করেও লড়াই করেছে তারা। যদিও আমাদের ব্যাটসম্যানদের ভুল ছিল। ওরাও জানে আমাদের বোলিং আক্রমণ কেমন। আমরাও জানি ওদের ব্যাটসম্যানরা কেমন। চেষ্টা করব এমন একটা পরিকল্পনা করতে যেন তা বাস্তবায়ন করতে পারি। প্রথম টেস্ট তিনদিনে শেষ হয়েছে। ওরকম কিছু আশা করছি না। আশা করলে ভুল হবে। ওরা ভালো দল, ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে। আমরা প্রস্তুত।
আমাদের স্পিনের সঙ্গে ওদের স্পিনের অনেক পার্থক্য। আমাদের স্পিনাররা অভিজ্ঞ। সাকিবের মতো বিশ্ববিখ্যাত বোলার আছে। তাইজুল আছে। সে দুই টেস্টে দুবার পাঁচ উইকেট নিয়েছে। জুবায়ের ভালো ফর্মে আছে। সেদিক থেকে বলব ওদের স্পিনাররা অনভিজ্ঞ। আমাদের ব্যাটসম্যানরা ভালো খেলেছে ওদের স্পিনারদের। আমরা ওদের স্পিন নিয়ে ভীত নই। উদ্বিগ্ন নিজেদের ব্যাটিং নিয়ে।
একাদশে পরিবর্তন

মুশফিক : আল-আমিন নেই। খুব বেশি পরিবর্তন হবে না। আমাদের টিম কম্বিনেশন ভালো। প্রথম টেস্টে অনেকে পারফর্ম করতে পারেনি। তারা যদি সুযোগ পায়, এই টেস্টে ভালো করবে।
বিজয়ের (এনামুল হক) খেলার সুযোগ আছে। সে মিডলঅর্ডারে ব্যাট করবে। তামিম ও শামসুর ফর্মে রয়েছে। আর বিজয় যদি সুযোগ পায় তাহলে সেও ভালো খেলার চেষ্টা করবে।
উইকেটের পার্থক্য

মুশফিক : খুলনা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে তুলনা করলে মিরপুরের উইকেট আলাদা। মিরপুরের উইকেটে যে বাড়তি বাউন্স ছিল এই উইকেটে তা হবে না। আমাদের পেসাররা যে খুব খারাপ তা কিন্তু নয়। স্পিনার হয়তো বেশি উইকেট নেবে। কিন্তু দ্রুত উইকেট নেয়ার ক্ষেত্রে পেসাররাই বড় ভূমিকা রাখতে পারে। শাহাদাত যেটা শেষ দুটি ইনিংসে করেছে। দ্বিতীয় টেস্টে পেস বোলাররা একই কাজ করবে আশা করছি। প্রথম টেস্টে ১০০ রান পর্যন্ত সবকিছু আমাদের পক্ষেই ছিল। আমরা যদি খুব ভালো ব্যাটিং করতাম তবে দুএকটা উইকেট হারিয়েই ম্যাচটা জিততে পারতাম। আমরা তা পারিনি। ওরা যে খুব ভালো বল করেছে তাও নয়।
ব্যাটসম্যানদেও ধৈর্য

মুশফিকুর : এ বছর অনেকগুলো ম্যাচে জয় পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমরা হেরে গেছি। খুলনা টেস্টে সুযোগ আছে। এখন আমাদের প্রতিটি ম্যাচে জয়ের জন্য সুযোগ তৈরি করতে হবে। সুযোগগুলো তৈরি হওয়ার পর সেগুলো হাতছাড়া করা যাবে না। চট্টগ্রামে শেষ টেস্ট। সেটা চিন্তা না করে এই টেস্টে ভালো করতে হবে। এই টেস্টটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ধৈর্য আসলে অনুশীলনের বিষয়। এটা এমনি এমনি হয় না। সাধনার ব্যাপার। ক্রিকেটে তিন বিভাগের মধ্যে ব্যাটিং সবচেয়ে কঠিন। একটা বল এদিক-ওদিক হলে আউট।
ব্যাটসম্যানদের জন্য বার্তা

মুশফিকুর : ইনিংসের শুরুতেই যেকোনো ব্যাটসম্যান আউট হতে পারে। টেস্ট ম্যাচে দুএকটা বল এমন হয় যেগুলো খেলা কষ্টকর। তামিমের ক্ষেত্রে প্রথম টেস্টে যেটা হয়েছে। আবার ব্যাটসম্যানরা নিজেদের দোষেও উইকেট হারায়। যে উইকেটে টিকে যায় সে যেন বড় স্কোর করতে পারে। একটাই মেসেজ, যারা ইনিংসের শুরুতেই ভালো করবে তারা যেন ইনিংসটা বড় করে।