
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোটারদের ব্যাপক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে শুক্রবার থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে উঠান বৈঠক শুরু হবে। তরুণ ভোটারদের বিশেষভাবে উদ্বুদ্ধ করতে ‘ভোটালাপ’ নামে প্রচার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। পাশাপাশি জেলা তথ্য অফিসগুলোর উদ্যোগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে গণভোটে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা হবে।
বৃহস্পতিবার জেলা তথ্য অফিসগুলোর প্রচার কার্যক্রম পর্যালোচনা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুল জলিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। জুম প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মাঠ পর্যায়ের ৬৮ তথ্য অফিসের প্রধান অংশ নেন।
তথ্য সচিব বলেন, এবারের গণভোটকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করতে প্রয়োজন হবে সকল ভোটারের সম্পৃক্ততা। তিনি মনে করেন, ভোটদানে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার গুরুদায়িত্ব তথ্য অফিসগুলোর। সচিব আরও বলেন, ন্যায় ও আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হলে গণভোটে ব্যাপক অংশগ্রহণ জরুরি। এজন্য আঞ্চলিক ভাষা ও সংস্কৃতিনির্ভর কনটেন্ট ব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি। ভোটারদের আচরণবিধি সম্পর্কে সচেতন করতে গ্রামাঞ্চলে ‘টেন মিনিট ব্রিফ’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের নির্দেশনাও দেন সচিব।
বৈঠকে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুল জলিল জানান, গণভোট ও নির্বাচনী আচরণবিধি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করছেন। গণভোট সংশ্লিষ্ট ১০টি সংগীতের রেকর্ডিং চলছে, যা শিগগিরই মাঠ পর্যায়ে প্রচারিত হবে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া কনটেন্টও ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন, বরিশাল জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক ওমর ফারুক দেওয়ান, রংপুর জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক ড. মোফাখ খারুল ইকবালসহ অনেকে মতামত তুলে ধরেন।
দেশব্যাপী উঠান বৈঠক ও প্রচার কার্যক্রম শুরু হলে আগামী জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটকে ঘিরে ভোটারদের আগ্রহ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।




































