
ছবি: সংগৃহীত
ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, জোহর রাজ্যের জোহর বাহরুর তেব্রাউ শিল্প এলাকায় একটি কম্পিউটার যন্ত্রাংশ কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৩৫৬ জন অবৈধ প্রবাসীকে আটক করা হয়।ধবার সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়া এই অভিযানে পরিকল্পিতভাবে অবৈধ প্রবাসী শ্রমিক নিয়োগের তথ্যের ভিত্তিতে কারখানাটিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জোহর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক দাতুক মোহদ রুসদি মোহদ দারুস জানান, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থা (একেপিএস)-এর সহযোগিতায় জোহর ইমিগ্রেশনের এনফোর্সমেন্ট শাখা অভিযানটি পরিচালনা করে। অভিযানে দেখা যায়, বিপুলসংখ্যক বিদেশি বৈধ ভ্রমণ নথি ও কাজের পারমিট ছাড়াই সেখানে কর্মরত ছিলেন। অভিযান চলাকালে কয়েকজন পালানোর চেষ্টা করলেও সব বহির্গমন পথ বন্ধ করে দেওয়ায় তা ব্যর্থ হয়। তদন্তে সহায়তার জন্য কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের দুইজন স্থানীয় পুরুষ কর্মীকেও আটক করা হয়েছে।
যাচাইয়ে দেখা যায়, আটক ৩৫৬ জনের মধ্যে ২৯৯ জন মিয়ানমারের নাগরিক, ২৬ জন বাংলাদেশি, ২২ জন ভারতীয়, তিনজন ইন্দোনেশীয়, দুইজন নেপালি এবং একজন করে পাকিস্তান ও ফিলিপাইনের নাগরিক। তাদের বয়স ১৮ থেকে ৪৬ বছরের মধ্যে।
দাতুক মোহদ রুসদি বলেন, কারখানাটিতে অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের সুসংগঠিত কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়া গেছে। আটক সবাইকে ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ ও ইমিগ্রেশন বিধিমালা ১৯৬৩-এর আওতায় সেতিয়া ট্রপিকা ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে। অবৈধ শ্রমিক নিয়োগে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
এদিকে নেগেরি সেম্বিলান রাজ্যের নিলাই এলাকায় একটি লৌহ কারখানায় পরিচালিত পৃথক অভিযানে আরও ৪৬ জন অবৈধ প্রবাসীকে আটক করা হয়েছে। আটক সবাই বাংলাদেশি নাগরিক।
রাজ্য ইমিগ্রেশন পরিচালক কেনিথ তান আই কিয়াং জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পরিচালিত অভিযানে ২৬ জন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা অংশ নেন। এ সময় মোট ১১৭ জনকে যাচাই-বাছাই করে ১৮ থেকে ৪৩ বছর বয়সী ৪৬ জন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন অপরাধে আটক করা হয়।
তিনি জানান, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বৈধ পাস ও ভ্রমণ নথি না থাকা এবং নির্ধারিত সময়ের বেশি অবস্থানসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তাদের লেংগেং ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে অবৈধ শ্রমিক নিয়োগে জড়িত মালিকপক্ষের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে এবং প্রমাণ পেলে ইমিগ্রেশন আইন অনুযায়ী মামলা করা হবে।








































