Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

smartphoneবিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল বাজারের তালিকায় অন্যতম হচ্ছে মোবাইল বাজার। বিশ্বের ক্রমবর্ধনশীল বাজারে বাংলাদেশ উঠে এসেছে নয় এ। আর এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এই অবস্থান পাঁচ।গত এক দশকে বাংলাদেশে মোবাইল ফোন শিল্পের দ্রুত বিকাশের বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিয়ে মোবাইল অপারেটরদের বৈশ্বিক সংগঠন জিএসএমএ – এর প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশের চারটি মোবাইল ফোন অপারেটরসহ তিনটি ওয়াইম্যাক্স অপারেটর জিএসএমএ-র সদস্য। সব মিলে বিশ্বের সাড়ে আট’শ অপারেটর এই সংগঠনটিতে রয়েছে। বাংলাদেশে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ব্রডব্যান্ড প্রযুক্তি ফোরজি ব্যবহারকারীদের সংখ্যা থ্রিজি ব্যবহারকারীদের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যাবে।

chardike-ad

আর সাত বছর পর দেশে মোবাইল ব্যবহারকারী মোট জনসংখ্যার ৪১ শতাংশ হবে বলে মনে করছে তারা।বুধবার বাংলাদেশের ওপর প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে সংগঠনটি বলছে, বর্তমানে দেশের ২১ শতাংশ লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। আর ফোরজির বিস্তারের কারণে ২০২৫ সালে এই সংখ্যা আরো ২০ শতাংশ বাড়বে।

জিএসএমএ’র এই প্রতিবেদন প্রকান্তরে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের প্রতিবেদনকে নাকচ করে দিয়েছে। এর আগে গত নভেম্বরে গুগল তাদের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারী চার কোটি বলে উল্লেখ করে। যার মধ্যে আবার ৩৫ শতাংশ প্রতিদিন একবার হলেও অন্তত ইন্টারনেটে আসে বলেও দাবি করা হয়েছিল।

অন্যদিকে বিটিআরসির হিসাব বলছে, ডিসেম্বরের শেষে দেশে কার্যকর ইন্টারনেট সংযোগ ছিল আট কোটি ৫ লাখ। এদিকে জিএসএমএ’র বুধবারের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২৫ সাল নাগাদ যে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহার ৪১ শতাংশে পৌঁছাবে যার মধ্যে প্রায় অর্ধেকের কাছে থাকবে ফোরজি।

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যার সঙ্গে সঙ্গে জিএসএমএ দেশে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ কোটি বলে দাবি করেছে। তবে বিটিআরসির হিসাব সাড়ে চৌদ্দ কোটিরও বেশি কার্যকর সংযোগ দেশে চালু আছে। আর সে কারণে বিটিআরসির হিসাবে মোবাইল ফোনের প্যানিট্রেশন ৮৬ শতাংশের বেশি হলেও জিএসএমএ তা অর্ধেকের বেশি বলছে না।

তবে ২০২৫ সাল নাগাদ দশ কোটি ৭০ লাখ লোকের হাতে মোবাইল থাকবে বলেও বলছে বিশ্বের অপারেটরদের এই সংগঠনটি।